Kulti: ঘুমন্ত ছেলেকে টেনে তুলে কোনওমতে বেরিয়ে এলেন মা, এরপরই বিস্ফোরণে উড়ল ঘরের চাল
Paschim Burdwan: বাড়ির কর্ত্রী বেবি ঘাসির কথায়, "রাতে আমরা ঘুমোচ্ছিলাম। রাত তখন প্রায় ২টো ২০। হঠাৎ শুনি বিকট শব্দ।"
আসানসোল: মাঝরাতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। সেই বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির চাল। গিয়ে পড়ল পড়শির বাড়িতে। কুলটি (Kulti) থানার সাকতোড়িয়ার (Saktoria) ময়লাগাদা এলাকায় শুক্রবার রাতে এই বিস্ফোরণ হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাড়িটির রান্নাঘর। রান্নাঘরেরই ছাদের চাল উড়ে যায়। এমনকী রান্নাঘরের জিনিসপত্র-সহ গোটা বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার রাত ২টোর পর এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। বিকট আওয়াজে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। পাড়ার লোকজন রাস্তায় নেমে আসেন। শুরু হয় ছোটাছুটি। আরও বড় কোনও বিপদ ঘটবে না তো, আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলটি থানার পুলিশ।
বাড়ির লোকজনের দাবি, যখন এই বিস্ফোরণ ঘটে, তখন তাঁরা ঘুমোচ্ছিলেন। আওয়াজ শুনে কোনওমতে বেরিয়ে আসেন। না হলে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত। একইসঙ্গে তাঁদের দাবি, রান্নাঘরের চাল গিয়ে পাশের বাড়িতে পড়ায় ভয় পেয়ে যান পড়শি বাড়ির লোকজনও। তুমুল হইচই শুরু হয় এলাকায়। তবে এই ঘটনায় পারিবারিক বিবাদকেই কাঠগড়ায় তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
একই দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেরও। পারিবারিক শত্রুতা থেকে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। তবে ঘটনার পর বাড়ির কর্তা শুভাশিস ঘাসি ও তাঁর ছেলেকে আটক করে পুলিশ। স্থানীয়দের অনুমান, বাড়ির ভিতর ডিনামাইট বা এই জাতীয় কোনও বিস্ফোরক থাকতে পারে। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বাড়ির কর্ত্রী বেবি ঘাসির কথায়, “রাতে আমরা ঘুমোচ্ছিলাম। রাত তখন প্রায় ২টো ২০। হঠাৎ শুনি বিকট শব্দ। ঘরে আমার ছেলে ছিল। কোনওমতে চিৎকার করে ওকে টেনে নিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসি। বেরোনোর পরমুহূর্তেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ঘরের ছাদ। পুলিশকে সবটা জানিয়েছি। পুলিশ এল, আমার স্বামী-ছেলেকেই সঙ্গে করে নিয়ে গেল।”
বেবির দাবি, তাঁর এক ননদের স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলা রয়েছে। তিনি বলেন, পারবেলিয়ায় তাঁর এক ননদ থাকেন। সেই ননদের ছেলেকেও ডিনামাইট কেসে ফাঁসানো হয়েছিল। বেবির দাবি, তাঁর ছেলেকেও হুমকি দিয়েছিলেন ওই নন্দাই। পুলিশকে তা তিনি জানিয়েওছিলেন। পুলিশ বলেছিল, কোনও সমস্যা হলে জানাতে। এরইমধ্যে রাতে এই ঘটনা। এই ঘটনার পিছনে পারিবারিক সমস্যা রয়েছে, নাকি পিছনে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।