Mr. Valentine: ৩২৭ ফুটের সুইসাইড নোট এখন পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রেমপত্র! বিশ্বরেকর্ডের পথে বাংলার ‘মিস্টার ভ্যালেন্টাইন’
Mister Valentine: ২০০৭ সালে তাঁর বিয়ে হয় কলকাতার সুনন্দার সঙ্গে। তাঁর স্ত্রীই দৌড়ঝাপ করে দীর্ঘ প্রেমপত্রটিকে বইয়ের আকারে প্রকাশিত করতে সাহায্য করেন। প্রাক্তন প্রেমিকাকে উদ্দেশ্য করে আটটি স্বরচিত গানও রয়েছে তাতে।
আসানসোল: প্রেম পায়নি পূর্ণতা। এক হয়নি চারহাত। কিন্তু প্রাক্তন প্রেমিকার প্রেমের সাগরে ডুব দিয়ে আজও ওঠা হয়নি আসানসোলের অনুপমের। মনে বিষাদের মেঘ জমলেও না বলা কথা দিয়েই মালা গেঁথে লিখে ফেলেছেন দীর্ঘ প্রেমপত্র থুড়ি আক্ষেপপত্র। সাইজ শুনলে রীতিমতো চোখ কপালে উঠবে! ৩২৭ ফুটের সেই প্রেমপত্র এখন বিশ্ব রেকর্ড গড়ার দোরগড়ায়।
বর্তমানে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অনুপম ঘোষাল। কলকাতায় নার্ভের চিকিৎসা চলছে তাঁর। কিন্তু, জীবনের সব ঝড়-ঝঞ্ঝা, ওঠা-পড়া, হার-জিতের মধ্যে আজও এক বিন্দুও ভুলতে পারেননি তাঁর ভালবাসাকে। বলছেন, প্রেমে প্রত্যাখিত হওয়ার পরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মনের কোণে অনেক কথা জমে ছিল। কিছু বলতে পারিনি ওকে। শেষ অনুষ্ঠান বাড়ির আড়াই কেজির সস্তা রোল পেপারের ওপর লেখা শুরু করেছিলাম। প্রাক্তন প্রেমিকার উদ্দেশ্যে যা জমা কথা ছিল সব লিখতে শুরু করি। সালটা তখন ২০০০। স্নান-খাওয়া ভুলে টানা ৭২ ঘণ্টা শুধু লিখেই গিয়েছি।
আসানসোলের মানুষ অনুপমকে ডাকেন ‘মিস্টার ভ্যালেন্টাইন’ বলে। কিন্তু, সেই মিস্টার ভ্যালেন্টাইন এখন প্রায় আড়াই দশক আগে লেখা তাঁর সেই চিঠির সংরক্ষণ নিয়ে পড়েছেন মহা ফাঁপরে। সস্তার সেই কাগজে লেখা প্রেমপত্রের অবস্থা বর্তমানে বেশ খারাপ। ইঁদুরে খাচ্ছে কাগজ। তবে তা ধরে রাখতে এগিয়ে এসেছেন তাঁর স্ত্রী। ২০০৭ সালে তাঁর বিয়ে হয় কলকাতার সুনন্দার সঙ্গে। তাঁর স্ত্রীই দৌড়ঝাপ করে দীর্ঘ প্রেমপত্রটিকে বইয়ের আকারে প্রকশিত করতে সাহায্য করেন। প্রাক্তন প্রেমিকাকে উদ্দেশ্য করে আটটি স্বরচিত গানও রয়েছে তাতে। তবে তাঁর সেই দীর্ঘ প্রেমপত্র ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে সুইডেনে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দফতরে। প্রাপ্তি স্বীকারের চিঠিও পেয়েছেন।