Harma Health Centre: শিলান্যাসের চার বছর পরও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চালু হল না চিকিৎসা পরিষেবা
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের গোবর্ধনপুর অঞ্চলের হারমা এলাকায় ২০১৯ সালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ভার্চুয়াল শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ২০২১ সালে হাসপাতাল তৈরির কাজ সমাপ্ত হলেও এখনও পর্যন্ত চালু হলো না চিকিৎসা পরিষেবা। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের বিল্ডিং তৈরি হলেও স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীদের মনে।
পিংলা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলান্যাস করেছেন চার বছর আগেই। কিন্তু চার বছর পরও চালু হল না পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার হারমা স্বাস্থ্য কেন্দ্র। শিল্যান্যাসের পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কোনও চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় না সেখানে। উদ্বোধনের পর এলাকাবাসী চিকিৎসা পাওয়ার আশায় খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু এখন বেশ হতাশ তাঁরা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের গোবর্ধনপুর অঞ্চলের হারমা এলাকায় ২০১৯ সালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ভার্চুয়াল শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ২০২১ সালে হাসপাতাল তৈরির কাজ সমাপ্ত হলেও এখনও পর্যন্ত চালু হলো না চিকিৎসা পরিষেবা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৯ সালে ১০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হওয়ার পর স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে আসায় বুক বেঁধে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের বিল্ডিং তৈরি হলেও স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীদের মনে। এলাকাবাসীদের আরও অভিযোগ যে কোনও ধরনের চিকিৎসার জন্য এলাকাবাসীদের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে মেদিনীপুর বা তমলুক হাসপাতালের উপর নির্ভর থাকতে হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সুজয় মণ্ডল জানান, “যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই হাসপাতাল তৈরি হয়েছিল তা পূরণ হয়নি। পরিষেবা চালু না হলে মানুষ চিকিৎসা পাবে কী করে। আমরা চাই দ্রুত এই হাসপাতালের পরিষেবা চালু হোক।”
এ বিষয়ে পিংলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক উৎপল রায় জানান ইতিমধ্যেই এই হাসপাতালের ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। হাসপাতালের সরঞ্জাম এবং কর্মী নিয়োগ হলেই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা চালু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।