Dilip Ghosh: ‘প্রতিদিন কত লোক গ্রুপে ঢুকছে-বেরচ্ছে,’ গেরুয়া নেতাদের ‘লেফট’ প্রবণতা পাত্তাই দিলেন না দিলীপ
Dilip Ghosh in Kharagpur: প্রতিদিন কতজন গ্রুপ থেকে চলে যায়, কতজন ঢোকে। এটা বিশেষ কোনও ব্যাপার নয়। দাবি দিলীপের
খড়গপুর: কাউকে কোনও পদ থেকে সরানো হল তো দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ‘লেফট’, কোনও নেতার সঙ্গে বনিবনা হল না তো তিনি ‘লেফট’! পান থেকে চুন খসলেই দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়ছেন বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতা থেকে বিধায়করা। যা নিয়ে যথেষ্ট তোলপাড় বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। তবে এসব ঘটনাকে পাত্তাই দিতে চাইলেন না বিজেপি সর্বভারতীয় সহ- সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
তাঁর দাবি, প্রতিদিন কতজন গ্রুপ থেকে চলে যায়, কতজন ঢোকে। এটা বিশেষ কোনও ব্যাপার নয়। রবিবার খড়গপুরে বিজেপি সাংসদ বলেন, “গ্রুপ ছাড়াটা কোনও খবর হতে পারেনা। কত লোক প্রতিদিন কত গ্রুপে ঢুকেছে, কত গ্রুপ থেকে বেরচ্ছে।” তিনি আরও যোগ করেছেন, “পার্টির ব্যাপারে সবাই একমত হবে না। পার্টির ব্যাপারে কারও কিছু বলার থাকলে সেটা ঠিক জায়গায় বলা উচিত… পার্টির ভিতরে।”
উল্লেখ্য, বিজেপির বিভিন্ন গ্রুপ থেকে এমপি, এমএলএ সহ বিভিন্ন নেতৃত্বের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে বেশ কিছুদিন ধরে। সেই সায়ন্তনকে দিয়ে শুরু। বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নতুন রাজ্য কমিটির তালিকা ঢোকা মাত্রই সায়ন্তন বসু সেই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। যদিও এ বিষয়ে সায়ন্তনের যুক্তি, “এটাই তো স্বাভাবিক। রাজ্য কমিটিতে না থাকলে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকাটা তো নৈতিক নয়। তাই ওই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছি।”
তারপর জানা যায়, অশোক কীর্তনিয়া, মুকুটমণি অধিকারী, সুব্রত ঠাকুর, অসীম সরকার এবং অম্বিকা রায়- এই বিজেপি বিধায়করাও একটি হোয়াটস অ্য়াপ গ্রুপ ত্যাগ করেন। ভেসে এসেছে শীলভদ্র দত্ত ও রাজু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নামও।
এ নিয়ে এদিন প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার খড়গপুরে চা-চক্রে হাজির হয়েছিলেন তিনি। শহরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের আরামবাটি এলাকায় চা চক্রে যোগ দেন বিজেপি নেতা-সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নেতৃত্বের ক্ষোভ নিয়ে এরকমই প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি।
পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যের কথা শোনান দিলীপ। বলেন, বিশেষজ্ঞরা যেমনভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে তথ্য দিচ্ছেন ঠিক সেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে ভ্যাক্সিনেশন এর কাজ করতে আর সেভাবে কাজ চলছে বলে। বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাপক হারে ভ্যাক্সিনেশনের কাজ করেছে বলেই আমাদের দেশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনা। আবার রাজ্যপাল প্রসঙ্গ টেনে বলেন রাজ্য সরকার চাইছে রাজ্যপালের পোস্টকে রাবার স্ট্যাম্প হিসাবে ব্যবহার করতে। যেটা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক, মন্তব্য দিলীপের।
আরও পড়ুন: Bengal BJP: বিজেপিতে বাড়ছে ‘লেফট’! এবার ছাড়লেন পাঁচ বিধায়ক, বেরিয়ে গেলেন শীলভদ্র-রাজুও