Dilip Ghosh: ‘সাংসদ তহবিলের টাকা আটকে সুদ খাচ্ছে সরকার’, ফের বিস্ফোরক দিলীপ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Jan 09, 2022 | 10:54 AM

Dilip Ghosh on MKDA: দিলীপ বাবুর অভিযোগ, তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে দেওয়া প্রায় ৭০ লাখ টাকা আটকে রাখা হয়েছে।

Dilip Ghosh: সাংসদ তহবিলের টাকা আটকে সুদ খাচ্ছে সরকার, ফের বিস্ফোরক দিলীপ
দিলীপ ঘোষ ফাইল চিত্র।

Follow Us

খড়গপুর: মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের মুখে বারবার শোনা গিয়েছে, তিনি এলাকার উন্নয়নের চেষ্টা করলেও তাতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও আরও বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিলীপ বাবুর অভিযোগ, তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে দেওয়া প্রায় ৭০ লাখ টাকা আটকে রাখা হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির খোঁচা, “টাকাটা আটকে রেখে সুদটা খাচ্ছে রাজ্য সরকার”।

উল্লেখ্য, সাংসদেরা বছরে এলাকা উন্নয়ন তহবিলে (এমপি ল্যাড) ৫ কোটি টাকা করে পান। তাঁরা প্রকল্পের সুপারিশ করেন। রূপায়ণের দায়িত্ব প্রশাসনের। মেদিনীপুরের সাংসদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ অর্থে প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব বর্তেছিল মেদিনীপুর-খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের (MKDA) উপরে। এখন দিলীপবাবুর অভিযোগ, প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা আটকে রাখা হয়েছে, কোনও কাজই হয়নি।

সাংসদ কোটার টাকা খরচ করতে দিচ্ছে না এমকেডিএ -এর চেয়ারম্যান, দিন কয়েক আগে এভাবেই সরাসরি মেদিনীপুর- খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ। সেখানেই তিনি এও অভিযোগ করেন যে মেদিনীপুর খড়গপুর শহরের ছোট ছোট কাজেরও পারমিশন দিচ্ছে না মেদিনীপুর-খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা এমকেডিএ। আর সেই অভিযোগ এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও তুলে ধরলেন তিনি। এবং আরও চাঁচাছোলা ভাষায়। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেছেন দিলীপ।

দিলীপ অভিযোগ করেছেন, মেদিনীপুর-খড়গপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তরফ থেকে সাংসদ তহবিল থেকে দেওয়া প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তিনি লেখেন, “যে টাকা সাধারণ মানুষের সেবার জন্য ব্যয় করা উচিত, সেটা রাজনৈতিক স্বার্থে আটকে রাখার কারণ কী?” পাশাপাশি তিনি এও অভিযোগ তুলেছেন, “একদিকে সরকার বলে নাকি টাকা নেই তাহলে এই বরাদ্দ গুলো কার নির্দেশে আটকে রাখা হচ্ছে? নাকি টাকাটা আটকে রেখে সুদটা খাচ্ছে রাজ্য সরকার?”

যদিও দিলীপবাবুর এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন MKDA- এর চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক দীনেন রায়। টাকা খরচ করতে না পারার ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি বলছেন যে, খুব সম্প্রতি তিনি MKDA এর চেয়ারম্যান পদে বসেছেন তাই পুরো বিষয়টি দেখার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নথিপত্র তৈরি করতে বলেছেন। তিনি এও জানান, খুব শীঘ্রই আটকে থাকা সমস্ত কাজ ছেড়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: Row over TMC MLA’s Viral Audio: ‘ভর্তি ফি ৪০ হাজার, অনার্সে লাগে ৭৫ হাজার টাকা,’ তৃণমূল বিধায়কের কণ্ঠে অডিয়ো ক্লিপ ঘিরে তীব্র অস্বস্তিতে দল 

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari on TMC: ‘প্রতিশ্রুতি পালন করছেন মাননীয়া, ত্রিপুরার পর গোয়ায়…ডবল-ডবল চাকরি দিচ্ছেন!’

আরও পড়ুন: Maharashtra COVID Restriction: উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রুখতে লকডাউন নয়, বিধিনিষেধের উপরই ভরসা রাখল ঠাকরে সরকার 

Next Article