Potato Farmer Suicide: ৩ দিনে আত্মঘাতী ৩, অকাল বৃষ্টিতে আলু পচতেই গলায় বিষ ঢাললেন চন্দ্রকোনার কৃষক

Potato Farmer Suicide: মৃত কৃষকের বাড়ি চন্দ্রকোনা লাহিরগঞ্জ এলাকায়। নাম বাপি ঘোষ। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঋণ নিয়ে প্রায় চার বিঘা পোখরাজ ও অন্যান্য আলু চাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু, অকাল বৃষ্টি সব শেষ করে দিয়েছে।

Potato Farmer Suicide: ৩ দিনে আত্মঘাতী ৩, অকাল বৃষ্টিতে আলু পচতেই গলায় বিষ ঢাললেন চন্দ্রকোনার কৃষক
শোকের ছায়া পরিবারে Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2023 | 12:37 PM

চন্দ্রকোনা: নিম্নচাপের বৃষ্টিতে বিঘার পর বিঘা ফসল নষ্ট হয়েছে। জমিতেই পচেছে সদ্য বসানো আলু, নষ্ট হয়েছে ধান। তাতেই বিগত দুইদিনে দুই কৃষকের আত্মহত্য়ার খবর মিলেছিল বাংলার বুকে। এবার আত্মঘাতী হলেন চন্দ্রকোনার এক আলু চাষি। পরিবারের দাবি, মানসিক অবসাদেই আত্মঘাতী হয়েছেন। এই নিয়ে তিন দিনে তিন কৃষকের আত্মহত্যার ছবি সামনে এল। তাতেই আরও বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে অকাল বৃষ্টিতে ফসল নষ্টের জেরে ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছে বিরোধীরা। সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, নওশাদ সিদ্দিকীরা। 

রবিবার যে কৃষক মারা গিয়েছেন তাঁর বাড়ি চন্দ্রকোনা লাহিরগঞ্জ এলাকায়। নাম বাপি ঘোষ। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঋণ নিয়ে প্রায় চার বিঘা পোখরাজ ও অন্যান্য আলু চাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু, অকাল বৃষ্টি সব শেষ করে দিয়েছে। জমিতেই পচেছে আলু বীজ। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন তাতেই কয়েকদিন থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন চন্দ্রকোনার ওই কৃষক। কী করে ঋণ শোধ করবেন তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছিলেন না। বারবার আক্ষেপও করছিলেন। এরইমধ্যে শুক্রবার গভীর রাতে বাড়িতেই বিষ খেয়ে নেন তিনি। 

পরিবারের সদস্যরাই দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখনও তাঁর দেহে রয়েছে প্রাণ। কিন্তু, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার সকালে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। রবিবার দুপুরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে তাঁর ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা যাচ্ছে। বাপি ঘোষের মৃত্যুর পরেই শোকের ছায়া লাহিরগঞ্জ গ্রামে। এলাকার মানুষের দাবি, চাষ করেই চলছিল বাপির সংসার। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী-পুত্র। সকালেই মৃত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধাড়া। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন, পাশে থাকার আশ্বাসও দেন।