Ghatal Domestic Violence: নগ্ন শরীরে কলাপাতার মোড়ক, এক অন্তঃসত্ত্বাকে দেখে চমকে উঠলেন চিকিৎসকরাই
Ghatal Domestic Violence: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কালো হয়ে গিয়েছিল গোটা শরীরটা। ওই অবস্থাতেই কোনও মতে কলা পাতা পেঁচিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
ঘাটাল: ভিতর থেকে ভেসে আসছিল আর্তনাদ। ঘরের দরজা জানালা বন্ধ থাকলেও সেই আওয়াজ পৌঁছেছিল প্রতিবেশীদের কানে। দরজা ভেঙে যতক্ষণে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে, প্রায় গোটা শরীরটাই ঝলসে গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কালো হয়ে গিয়েছিল গোটা শরীরটা। ওই অবস্থাতেই কোনও মতে কলা পাতা পেঁচিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এক অন্তঃসত্ত্বার দগ্ধ শরীর উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ঘাটালে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার কুঠিঘাট কোতলপুর এলাকার ঘটনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর নাম অর্পিতা মাঝি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান, স্থানীয় দোকানি সৌরভ মাঝির ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। মারাত্মক আর্তনাদ শোনা যাচ্ছিল। তখনই স্থানীয় বাসিন্দারা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। দেখেন মেঝেতে অর্পিতা দগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দ্রুত তাঁকে কলাপাতায় মুড়িয়ে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অর্পিতার শরীরের প্রায় একশো শতাংশই পুড়ে গিয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, বছর খানেক আগে কোতলপুর গ্রামের বাসিন্দা সৌরভের সঙ্গে বিয়ে হয় অর্পিতার। বাড়ির সামনেই একটি দোকান রয়েছে সৌরভের। গ্রামের একটি সূত্রে মারফত জানা যাচ্ছে, বিয়ের পর থেকেই অর্পিতার ওপর অত্যাচার করতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার বাড়িতে পুজো দিচ্ছিলেন অর্পিতা। কোনও ভাবে সেই প্রদীপ থেকেই আগুন লেগে গিয়েছে বলে দাবি পরিবারের। কিন্তু ঘটনার সময়ে কেউ সেখানে ছিলেন না বলেও দাবি করেছেন। এখন মেয়েকে নিয়ে কলকাতায় গিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। গৃহবধূর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত লিখিত আকারে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ঘাটাল থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ঘটনার খোঁজখবর করা শুরু করেছে।