Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Madhyamik Exam: ‘ভাবিনি এত খারাপ ফল হবে’, মাধ্যমিকের রেজাল্ট হাতে পেয়েই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা কিশোরীর

Madhyamik Exam: বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা যাচ্ছে। খবর পেয়ে চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী অসুস্থ ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।

Madhyamik Exam: ‘ভাবিনি এত খারাপ ফল হবে’, মাধ্যমিকের রেজাল্ট হাতে পেয়েই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা কিশোরীর
আত্মহত্যার চেষ্টা পড়ুয়ার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 21, 2023 | 7:48 AM

চন্দ্রকোনা: কদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফল (Madhyamik Exam 2023)। তারপর থেকেই একদিকে সন্তানের যখন চোখ ধাঁধানো সাফল্যে মুখে স্বস্তির হাসি অনেক অভিভাবকের, তেমনই আশানরূপ ফল না হওয়ায় কোথাও আবার বিষাদের সুর। পড়ছে চোখের জল। মাধ্যমিকে ভাল ফল করতে না পেরে এবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার (Suicide) চেষ্টা করল এক পড়ুয়া। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করায় এ যাত্রায় বাঁচল প্রাণ। এ ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোনার ভবানীপুর গ্রামে। এই গ্রামেরই এক ছাত্রী মাধ্যমিকে কম নম্বর পাওয়ায় বিগত কয়েকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল। এমনটাই জানাচ্ছে তার পরিবার। অনেক বোঝানোর পরেও শান্ত হয়নি তার মন। কিন্তু, সে কারণে একেবারে যে আত্মহত্যার চেষ্টা করবে এই ছাত্রী তা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 

সূত্রের খবর, এলাকার রাখাল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো ওই পড়ুয়া। পড়াশোনার ক্ষেত্রে তার বরাবরই ভাল চেষ্টা ছিল বলে জানাচ্ছেন তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, মাধ্যমিকের রেজাল্ট হাতে পাওয়ার পর দেখা যায় সে যত নম্বর পাবে বলে আশা করেছিল ততটা নম্বর তুলতে পারেনি। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে চলে যায় ওই ছাত্রী। এরইমধ্যে শনিবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনা জানতে পারা মাত্রই তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করে পরিবারে সদস্যরা। 

তবে বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা যাচ্ছে। খবর পেয়ে চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী অসুস্থ ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ছাত্রীর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল হলেও তাকে আপাতত কয়েকদিন পর্যবেক্ষনে রাখছেন চিকিৎসকরা। 

ঘটনায় ওই ছাত্রী বলছে, “আসলে আমি রেজাল্টটা মেনে নিতে পারিনি। আমি হিসাব করে দেখেছিলাম ৬১৯ মতো পাব, সেখানে ৪০৫ পেয়েছি। তাই এটা মেনে নেওয়া আমার জন্য খুবই চাপের ছিল। কদিন ধরে মানসিক অবসাদের ভুগছিলাম।” অন্যদিকে মনোবিদরা বলছেন, নব প্রজন্মের হার না মানা ইঁদুর দৌড়, পারিপার্শ্বিক চাপ, বাঁধন ছাড়া উচ্চাকাঙ্খাই ডেকে আনছে সবথেকে বড় বিপদ। আর সে কারণেই ইচ্ছাপূরণ না হলে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। বিগত কয়েক বছরে শুধু বাংলা নয় গোটা দেশেই কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যার পরিমাণ বেড়েছে লাগামহীনভাবে। তাঁদের পরামর্শ একটাই, এ ক্ষেত্রে সবার আগে তাদের বুঝতে হবে মা-বাবাকেই। জানতে হবে বিষাদের কারণ। তবেই মিলতে পারে মুক্তি।