Food safety officer: ‘এত বাসি খাবার কেন? টাটকা মাংস কোথায়?’ রেস্তোরাঁয় অগ্নিশর্মা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক

Food safety officer: খাবারের গুণগত মান বজায় রাখতে আগামীতেও এই অভিযান জারি থাকবে বলে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে। তাঁদের এই উদ্যোগে খুশি ক্রেতা থেকে চন্দ্রকোনাবাসী সকলেই।

Food safety officer: ‘এত বাসি খাবার কেন? টাটকা মাংস কোথায়?’ রেস্তোরাঁয় অগ্নিশর্মা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক
রেস্তোরাঁ থেকে মিষ্টির দোকান, সর্বত্র চলল অভিযান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2023 | 11:58 AM

চন্দ্রকোনা: খাবারের দোকানে অভিযানে গিয়ে রীতিমতো রণংদেহী মেজাজে দেখা গেল মহিলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক (Food safety officer)। ধমক দিয়ে দোকান থেকে নষ্ট হওয়া খাবার টেনে বের করে ডাস্টবিনেও ফেলালেন ওই খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক। অভিযোগ, ঝা-চকচকে দোকানের আড়ালে খাদ্য রসিক মানুষদের খাওয়ানো হচ্ছিল বাসি পচা খাবার। একাধিকবার সতর্ক করেও সচেতন না হওয়ায় অভিযোগ পেয়ে আসরে নামে খাদ্য সুরক্ষা দফতর। বিভিন্ন খাবারের দোকানে হানা দিতেই হাতেনাতে ধরা পড়লো দোকানগুলির কারসাজি। দেখা গেল একাধিক জায়গায় টাকটা খাবারের নামে দেওয়া হচ্ছে বাসি পচা খাবার। নিজে হাতে দোকানের খাবারের গুণগত মান যাচাই করে একাধিক দোকানদারকে ধরালেন নোটিশ, কড়া আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিলেন ওই মহিলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক।

শুক্রবার এই ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভা এলাকার। শুক্রবার দিনভর চন্দ্রকোনা শহরের একাধিক রেস্টুরেন্ট,হোটেল,চপ মুড়ির দোকান,মিষ্টির দোকানে অভিযান চালান চন্দ্রকোনার খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার। দফতরের কর্মীদের নিয়ে শহরের গাছশীতলা, গোঁসাইবাজার, দক্ষিণবাজার, গোবিন্দপুর, ঠাকুরবাড়ি বাজার-সহ একাধিক জায়গায় অতর্কিতে অভিযান চালান তিনি। একাধিক নামকরা রেস্তোরাঁয় হানা দিতেই চোখ কপালে ওঠে খাদ্য সুরক্ষা দফতরের কর্মীদের। একাধিক দোকান থেকে পাওয়া যায় পচা মাংস, ফ্রিজে রাখা বাসি খাবার। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সেই সব খাবার-দাবার ফেলার ব্যবস্থা করলেন ওই মহিলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক। 

তবে শুধু রেস্তোরাঁ নয়, একাধিক মিষ্টির দোকানেও হানা দেন তিনি। বাসি মিষ্টি ও ফ্রিজে রাখা কেজি কেজি মিষ্টি তৈরির ছানা নিজে হাতে ফ্রিজ থেকে বের করে তা ডাস্টবিনে ফেলার ব্যবস্থা করেন। দিনভর খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকের এই অভিযানে ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয় চন্দ্রকোনা শহরজুড়ে। এ বিষয়ে দেবারতি দেবী জানান, “খাদ্য দফতরের নিয়মাবলী সম্পর্কে অনেকবার দোকানদারদের সচেতন করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও তা অনেকে মেনে চলেননি। খাদ্য সুরক্ষার বিষয়েও নজর দেওয়া হচ্ছিল না। অনেক দোকানদার বিনা লাইসেন্সে দোকান চালাচ্ছিলেন তাঁদের নোটিশ ধরানো হয়েছে।”