West Medinipur: বাঁশের সাঁকো ডুবেছে জলে, চলছে ঝুঁকির পারাপার
West Medinipur: গত বছর বন্যার সময় ভেঙে গিয়েছিল শিলাবতী নদীর উপর একাধিক কাঠের সেতু। গ্রামবাসীদের উদ্যোগে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলছিল যাতায়াত।
ঘাটাল: প্রবল বৃষ্টিতে বেড়েছে নদীর জল। অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো জলের তলায়। তার উপর দিয়েই চলছে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার। এমনভাবেই ঝুঁকির পারাপার চলছে চন্দ্রকোনায়। আবার ঘাটালের মনসুকায় বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়ে চলছে নৌকায় পারাপার। পুজোর সময় নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগে চন্দ্রকোনা ও ঘাটালের মনসুকা এলাকায় একাধিক গ্রামের মানুষ।
বাতাসে পুজোর গন্ধ। কিন্তু, সেই পুজোর আমেজের মধ্যেই এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছে চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর এক ও দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১০-১৫টি গ্রামের মানুষ। কারণ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে শিলাবতী নদীর জল বেড়েছে। তার ফলে ডুবে গিয়েছে বাঁশের সাঁকো।
গত বছর বন্যার সময় ভেঙে গিয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৈরি চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ১ ও ভগবন্তপুর ২ এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিলাবতী নদীর উপর যোগাযোগের একাধিক কাঠের সেতু। গ্রামবাসীদের উদ্যোগে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলছিল যাতায়াত। একদিনের টানা বর্ষণের ফলে শিলাবতী নদীর জল বেড়েছে। ফলে বাঁশের সাঁকো ডুবে গিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে ডুবে যাওয়া সাঁকোর উপর দিয়ে চলছে পারাপার। পারাপারের জন্য বাসিন্দারা নৌকার ব্যবস্থা করেছেন। তবে ভগবন্তপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষিবাড় এলাকায় অনেকেই দেখা গেল, জলে ডুবে যাওয়া বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে পারাপারের ফলে যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসন উদাসীন বলেও তাঁদের অভিযোগ।
আবার ঘাটালের মনসুকার বেরারঘাটে ঝুমি নদীর উপর বাঁশের সাঁকো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মঙ্গলবার সকালে। ফলে যাতায়াতের সমস্যায় পড়েছে মনসুকার ১০-১৫টি গ্রামের মানুষ। এইসমস্ত এলাকার বাসিন্দারা পুজোর সময় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে গিয়ে পুজো দেখতে হলে নৌকাতে পারাপার করতে হচ্ছে।