Potato Farmer Suicide: ‘আলুতে কেউ গেম খেলবেন না’, একটা লাইনেই সবটা বলে ‘চলে গেলেন’ চাষি
Potato Farmer Suicide: বুধবার রাতে বাড়ির শোওয়ার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, আলু চাষে ক্ষতি হওয়াতেই আত্মঘাতী হয়েছেন মনোজ।
মেদিনীপুর: ‘আলুতে কেউ গেম খেলবেন না…’, মাটিতে পড়া কাগজে লেখা ছিল একটা লাইন। তাতেই বলে দেওয়া ছিল, তাঁর জীবনের চরমতম সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী কারণ। রাজ্যে আরও এক আলু ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল গড়বেতা থানার আমলাগোড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মনোজ দত্ত। বুধবার রাতে বাড়ির শোওয়ার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, আলু চাষে ক্ষতি হওয়াতেই আত্মঘাতী হয়েছেন মনোজ। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গরবেতা থানার আমলাগোড়া এলাকার মনোজ দত্ত দীর্ঘদিন ধরেই আলু ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এবছরও কয়েক বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন তিনি। বাজার থেকে ঋণ করে আলু চাষ করেছিলেন। কিন্তু সেভাবে দাম না পাওয়ায় প্রচুর পরিমাণ লোকসানের মুখে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, তা নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মনোজ। বুধবার রাতেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন। তারপর নিজের ঘরে শুতে চলে যান। সকালে না ওঠায় পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি শুরু করেন। দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায় কড়িকাঠের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন মনোজ।
এরপর পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ওই ঘর থেকেই উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। পুলিশ জানিয়েছে, তাতে লেখা “আলুতে কেউ গেম খেলবেন না।” ঘটনায় বিডিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। গত সপ্তাহেই হুগলির খানাকুলের সেনপুর গ্রামে এক আলু চাষির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। মৃতের পরিবারের দাবি,প্রতিবছরের মতো এবারও সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে ৫বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু আলুতে দাম না পাওয়ায় কীভাবে ঋন শোধ করবেন এই নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সেক্ষেত্রেও আত্মহত্যার তত্ত্বই তুলেছেন পরিবার। জ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আলু চাষিদের অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে বিগত কিছুদিন ধরে। রাস্তায় আলু ফেলে দেওয়া হচ্ছে। চাষিরা বলছেন, তাঁরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। সরকারের তরফে চাষিদের থেকে আলু কেনা হচ্ছে বটে, কিন্তু তাতেও লাভের সিকিভাগও দেখতে পাচ্ছেন না কৃষকরা। ক্ষোভে ফুঁসছেন আলুর চাষিরা।