TMC Clash: শাসকদলের আদি-নব্য দ্বন্দ্ব! মেরে এক কর্মীর নাক ফাটাল দলের অপর কর্মী
Keshpur: আদি-নব্য এই দ্বন্দ্ব কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না জেলায়। গতকাল সেই ঝামেলা পৌঁছায় চরমে।
কেশপুর: নির্বাচনের আগে হোক কী পরে! বারবার উত্তপ্ত হয়েছে কেশপুর। কখনও বোমাবাজি, কখনও গোলাগুলি, কখনও আবার গোষ্ঠী কোন্দল। একের পর এক ঝমেলায় নাম জড়িয়েছে কেশপুরের। আবারও শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে কেশপুর।
জানা গিয়েছে, তৃণমূলের ৬ নম্বর অঞ্চল জগন্নাথপুরের কর্মী বাবলু ঘোষ। গোষ্ঠী সংঘর্ষে তার কপালে আর নাকে আঘাত লেগেছে। বর্তমানে তাকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
সূত্রের খবর, ঘটনাস্থান কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার পাউসা গ্রামের। দীর্ঘদিন ধরেই প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পাল গোষ্ঠীর সঙ্গে বর্তমান ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠী গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল চলে আসেছে। আদি-নব্য এই দ্বন্দ্ব কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না জেলায়। গতকাল সেই ঝামেলা পৌঁছায় চরমে।
জানা গিয়েছে, একটি মিটিংকে কেন্দ্র করে যত সমস্যার শুরু। ওই মিটিংয়ের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কর্মীরা। এরপরই আঘাত লাগে বাবলু ঘোষের।
বাবলু ঘোষ বলেন, “শনিবার রাতে জমিতে কাজ করে বাড়ি ফেরার সময় রাতে হামলা চালায় সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কয়েকজন।” আহত বাবলু স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি বিশ্বজিৎ বরদুলোই এর সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বজিৎ আবার প্রাক্তন ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর সমর্থক বলে জানা যায়।
আহতের ভাই বরুণ ঘোষ বলেন, “এদিন জমি থেকে কাজ করে বাড়ি ফিরছিল দাদা। সেই সময় সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া কয়েকজন কর্মী হামলা চালায় দাদার উপর। এরকম ভাবে আর কতদিন হামলার স্বীকার হতে হবে জানি না। এদিকে মুন্না পড়িয়া বলেন, “পুরানো তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা করছে নব্য তৃণমূল কর্মীরা। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আনার চেষ্টা চলছে। মাস খানেক আগেও একই রকম হামলা হয়েছিল বিশ্বজিৎ বরদলোই এর গোষ্ঠীর উপর।”
আরও পড়ুন: Night Curfew: রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে ছাড় নিয়ে নির্দেশিকা জারি নবান্নের, জেনে নিন বিস্তারিত