Crime: বউমার ‘অবৈধ সম্পর্ক’ না মানায় শ্বশুরের রহস্যমৃত্যু, আঙুল তৃণমূল নেতাদের দিকে!
Paschim Medinipur: স্ত্রীয়ের 'অবৈধ সম্পর্ক' মেনে না নেওয়ায় শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়তে হল স্বামী সেক পারবেস আলী সহ তাঁর পুরো পরিবারকে। শুধু তাই নয়, পারবেসের বাবা সেক ইসলাম আলীকে বিষ পান করিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল পারবেসের স্ত্রী সকিনা খাতুনের বিরূদ্ধে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: স্ত্রীয়ের ‘অবৈধ সম্পর্ক’ মেনে না নেওয়ায় শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়তে হল স্বামী সেক পারবেস আলী সহ তাঁর পুরো পরিবারকে। শুধু তাই নয়, পারবেসের বাবা সেক ইসলাম আলীকে বিষ পান করিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল পারবেসের স্ত্রী সকিনা খাতুনের বিরূদ্ধে। চা়ঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানার অন্তর্গত কলাগ্রাম অঞ্চলের আখরাপোতা গ্রামে।
আখরাপোতা গ্রামের বাসিন্দা সেক পারবেশ আলীর অভিযোগ, কাজের তাগিদে তাঁকে দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। সেই সুযোগে কেশপুর থানার শাকপুরের বাসিন্দা সেক সেরাজুল আলীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। দু”বছর আগে পারবেসের ৭ বছরের ছেলে নাকি তার মা ও সেরাজুলকে বাড়ির মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। তার পরই পারবেসের স্ত্রী সাকিনা খাতুন ছেলেকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে সাকিনা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
দীর্ঘ ১৯ মাস বাদে কয়েকদিন আগে সাকিনা ফিরে আসেন শ্বশুরবাড়ি। তিনি ভুল করেছিলেন এবং তার জন্য মাফ চেয়ে পারবেসের সঙ্গে আবার থাকতে থাকতে চান। তখন পারবেস তাঁর স্ত্রীকে জানান, তাঁর প্রেমিক সেরাজুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে হবে। কিন্তু তাতে রাজি হননি সাকিনা। পারবেসের অভিযোগ, এর পর স্ত্রী সাকিনার বাপের বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সেরাজুলের সঙ্গে যোগসাজশ করে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কাজী সাহাদাত, বুথ সভাপতি সেক মজু আলি সহ শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের সাহায্য় নানাভাবে তাঁদের উপর অত্যাচার শুরু করে। পুরো পরিবারকে বিনা কারণে সামাজিক বয়কট করা হয়। বাড়ির বাইরে বেরলে মারধরও করা হয়। বিষয়টি কেশপুর থানায় লিখিত আকারে জানাতে গেলে সেখানেও অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পারবেসের।
এর পরই মেদিনীপুর আদালতে স্ত্রী সাকিনা খাতুন ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন পারবেস। একই সঙ্গে পোস্ট মাধ্যমে কেশপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরে শুরু হয় আরও ঝামেলা। অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব কাজী সাহাদাত, সেক আজব আলি, সেক হাসমত আলী, সেক মজু আলিরা এর পর জোর করে পারবেসের স্ত্রীকে তাঁর বাড়িতে ঢোকান।
পারবেসের মা ও বাবাকে হুমকি দেওয়া হয়। এর পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পারবেসের স্ত্রী সাকিনা পানীয় জলে বিষ মিশিয়ে সেক ইসলাম আলীকে খাইয়ে দেযন বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইসলাম আলীকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এদিন তাঁর মৃত্যু হয়। এমতাবস্থায় অসহায় অবস্থায় পুনরায় পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন পারবেস। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কাজী সাহাদাতের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এসব কথাই অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: Dhupguri: হাসপাতাল না পাতালঘর! মোবাইলের আলোয় রুদ্ধশ্বাস অপারেশন ডাক্তারের