Ketugram News: আধার-ভোটার সব আছে, শুধু নাম নেই ২০০২ সালের তালিকায়, SIR আতঙ্কে কাঁটা কেতুগ্রামের লোকজনের
Ketugram: তাড়া করে বেড়াচ্ছে SIR আতঙ্ক। আর এই নাম না থাকা পরিবারগুলিকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতির দড়ি টানাটানি। তৃণমূলের দাবি,নাম না থাকা পরিবারগুলির প্রয়োজনীয় নথি দেখালে তাঁদের নাম নিশ্চয় উঠবে। আর বিজেপির আশ্বাস, ভয় পেয়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই, CAA ফর্ম ফিলাপ করে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা যাবে।

কেতুগ্রাম: রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর (SIR)। বাড়ি-বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে যাচ্ছেন বিএলওরা। এই আবহের মধ্যেই চিন্তায় পূর্ব মেদিনীপুরের কেতুগ্রামের বহু পরিবার। জানা যাচ্ছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই তাঁদের। নিরাপত্তার জন্য ওপার বাংলা থেকে ভারতে এসে বসবাস করলেও SIR আবহে কপালে চিন্তার ভাঁজ। দিনরাত কাটছে দুশ্চিন্তায়। তাড়া করে বেড়াচ্ছে SIR আতঙ্ক। আর এই নাম না থাকা পরিবারগুলিকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতির দড়ি টানাটানি। তৃণমূলের দাবি,নাম না থাকা পরিবারগুলির প্রয়োজনীয় নথি দেখালে তাঁদের নাম নিশ্চয় উঠবে। আর বিজেপির আশ্বাস, ভয় পেয়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই, CAA ফর্ম ফিলাপ করে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা যাবে।
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম এক নম্বর ব্লকের শান্তিনগর গ্রাম। গ্রামটির দু’টি বুথ মিলিয়ে ১ হাজার ৫১০ জন ভোটার। তাঁদের মধ্যেই অধিকাংশই ওপার বাংলা থেকে এসে এই গ্রামে বসবাস করছেন। যার মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশ পরিবারের ২০০২ সালের ভোটারের তালিকায় নাম নেই বলে দাবি।
পরিবার নিয়ে কেউ এসেছেন অনেক আগেই, কেউ আবার এসেছেন ২০০২ সালের পর। কেউ বছর পাঁচ-সাত আগে। এই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, শুধুমাত্র নিরাপত্তার জন্য ও নিশ্চিতে বসবাস করার জন্যই ওপারের বসত ভিটা, জমি ফেলে ছুটে এসেছেন কেতুগ্রামের শান্তিনগরে। কোনও মতে একফালি জমি কিনে কোনও রকমে ঝুপড়ির ঘরে পরিবার সহ বসবাস করেন তাঁরা। তাঁদের রয়েছে এদেশের জমির দলিল, রেশন কার্ড সহ বিভিন্ন এদেশের নথি। তবে নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। আর SIR শুরু হতেই রাতের ঘুম উড়ছে এই সকল পরিবারের।
অঞ্জলী মণ্ডল বলেন, “আমাদের কাগজ-পত্র সব আছে। রেশন-ভোটার সব আছে। কিন্তু ২০০২ সালের তালিকায় না নেই। সেই কারণে ভয় লাগছে। এখনও এখানে কোনও বিএলও আসেনি।” কেতুগ্রামের TMC ব্লক সভাপতি তরুণ কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা কারও নাম বাদ দিতে দেব না। ওদের যা তথ্য আছে সবটা দিয়েই নাম তুলতেই হবে।” বিজেপি নেতা বলেন, “যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন তাঁদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। সিএএ ফর্ম ফিলাপ করলেই হয়ে নাম উঠে যাবে।”
