Election Commission: কমিশনের লোকের বিরুদ্ধেই বিধি ভাঙার অভিযোগ তুলল বিজেপি
ভোট ঘোষণা মানেই নির্বাচন কমিশনের আওতায় প্রশাসন। তাদের যা নির্দেশ দেওয়ার, যা করানোর কমিশনই করাবে। এবার সেই কমিশনের কর্মীর বিরুদ্ধে ভোটের আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠল। পূর্ব বর্ধমানের তালিতগ্রামের ঘটনা। বর্ধমান-১ ব্লকের তালিতগ্রামে তৃণমূলের ভোট প্রচার ছিল। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের আওতায় পড়ে এই এলাকা।
পূর্ব বর্ধমান: আদর্শ আচরণবিধি মানা হচ্ছে কি না, দেখতে পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিকে। আর সেখানেই উঠল নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ। বিজেপি জানিয়েছে, কমিশনের গাড়িতে তৃণমূলের লোকেরা উঠে পড়েন। এভাবেই সবকিছুতে শাসকদল প্রভাব খাটাচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। পাল্টা তৃণমূল জানিয়েছে, এ কথা ভিত্তিহীন। আর অভিযোগ থাকলে কমিশনকে সরাসরি জানাক। বর্ধমান-১ ব্লকের তালিত গ্রামের ঘটনা।
ভোট ঘোষণা মানেই নির্বাচন কমিশনের আওতায় প্রশাসন। তাদের যা নির্দেশ দেওয়ার, যা করানোর কমিশনই করাবে। এবার সেই কমিশনের কর্মীর বিরুদ্ধে ভোটের আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠল তালিতগ্রামে। তৃণমূলের ভোট প্রচার ছিল এখানে। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের আওতায় পড়ে এই এলাকা।
তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে প্রচারে বেরোন বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক। এদিকে আর্দশ আচরণ বিধি মানা হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব জায়গাতেই নির্বাচনী প্রচারের ছবি তোলা হচ্ছে। সেই মতো বর্ধমান-১ ব্লকের পক্ষ থেকে ছবি তোলার জন্য চিত্রগ্রাহক পাঠানো হয়। শেখ আজিজ নামে এক চিত্রগ্রাহক যে চারচাকা গাড়িতে তালিত গ্রামে গিয়েছিলেন, সেই গাড়িতেই তৃণমূলের সমর্থকরা ছিলেন বলে অভিযোগ, সঙ্গে তৃণমূলের পতাকাও ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ বলেন, “কমিশনের হয়ে যাঁরা ভিডিয়ো করছেন, তাঁরা গাড়িতে তৃণমূলের সমর্থকদের নিয়ে যাচ্ছেন। এটা তো আদর্শ আচরণ বিধি ভাঙার সমান। আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ভুললে চলবে না, এ রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের যাঁরা আছেন তাঁরা কিন্তু এ রাজ্য সরকারের কর্মী।”
তবে তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের কথায়, “এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশনে জানাচ্ছেন না কেন? তারা তদন্ত করে দেখবে। আমাদের দলের নেতা কর্মীরা নির্বাচন কমিশনের গাড়িতে পতাকা লাগাতেই বা যাবে কেন, তাদের গাড়িতে উঠবেই বা কেন? আমাদের গাড়িতেই যাবে। বারবার মিথ্যা অভিযোগ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।”
যদিও শেখ আজিজের বক্তব্য, “আমাদের গাফিলতির কারণেই এটা ঘটে গিয়েছে। আমরা ক্যামেরায় ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ দেখছি আমাদের গাড়িতে কিছু ছেলে উঠে বসে গিয়েছে। আমরা বলেছি নেমে যেতে। এটা নির্বাচন কমিশনের গাড়ি। ফ্ল্যাগ লাগাচ্ছিল, সেটাও খুলে ফেলতে বলি। জানিয়েছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।”