Bardhaman: প্রতিদিন রাত হলেই ওরা চালাত সেই ‘খেলা’, দেখে ফেলতেই মার খেতে হল রাহুলকে

Bardhaman:অভিযোগ, এরপর প্রতিবাদীদের মধ্যে রাহুল দাস নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় চৌরঙ্গী মোড়ে কালু গুহ, দীপিক গুহ,বাবাই ঘোষ,কার্তিক ঘোষ,রিজু সহ বেশ কয়েকজন তাঁদের উপর লাঠি,বাঁশ, রড নিয়ে হামলা চালায়।

Bardhaman: প্রতিদিন রাত হলেই ওরা চালাত সেই 'খেলা', দেখে ফেলতেই মার খেতে হল রাহুলকে
মারধর প্রতিবাদীদেরImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2024 | 9:23 PM

বর্ধমান: রমরমিয়ে চলছিল জুয়ার প্রতিবাদ। সেই সময় প্রতিবাদ করেছিলেন কয়েকজন। তারপরই নেমে এল আঘাত। অভিযুক্তরা বেধড়ক পেটালেন প্রতিবাদীদের। ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন। বর্ধমানের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নীলপুর শক্তিপাড়া এলাকায় বিবেকানন্দ স্ট্যাচুর পাশে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে জুয়ার আসর। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে জুয়া খেলার পাশাপাশি মদের আসর ও উচ্চস্বরে চলছিল গালিগালাজ। স্থানীয় কয়েজকজন প্রতিবাদ করায় সেদিনই তাদের উপর চড়াও হয়ে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয়দের আরও অভিযোগ বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান থানায় ফোন করা হলেও কেউ ফোন তোলেনি। পরের দিন অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় কয়েকজন কাউন্সিলরকে জানান এবং বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ, এরপর প্রতিবাদীদের মধ্যে রাহুল দাস নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় চৌরঙ্গী মোড়ে কালু গুহ, দীপিক গুহ,বাবাই ঘোষ,কার্তিক ঘোষ,রিজু সহ বেশ কয়েকজন তাঁদের উপর লাঠি,বাঁশ, রড নিয়ে হামলা চালায়। রাহুলের বাবা সহ এলাকার কয়েকজন তাঁকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রাহুল সহ বেশ কয়েকজন জখম হন। এলাকার অন্যান্য মানুষজন বেরিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। বর্ধমান হাসপাতালে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। এরপরই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষজন। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ঘোষপাড়া এলাকায় এই জুয়োর ও সাট্টার রমরমে কারবার চলে এলাকায় একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এদের দৌরাত্ম্য কমেনি। তাঁদের অভিযোগ, সন্ধ্যা নামতেই বিবেকানন্দ স্ট্যাচুর সামনে কয়েকজন দুস্কৃতী জুয়ার আসর বসায়। এতে সাধারণ পথচলতি মানুষজনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এর একটা বিহীত চাইছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা থেকে ক্লাবের কর্মকর্তা সকলেই চাইছেন পুলিশ আরও সক্রিয় হোক। এ প্রসঙ্গে রাহুল দাস বলেন, “ওরা জুয়া খেলছিল। মদ খাচ্ছিল। আমরা এরই প্রতিবাদ করেছিলাম। তারপরই বেধড়ক মারধর করে। এমনকী আমার স্ত্রীকেও বেধড়ক পেটানো হয়। থানায় ফোন করা হয়েছে। তবে ওরা ফোন তোলেনি। পরে পুলিশ বলছে আপনারা আমাদের জানাননি কেন?”