BLO: বিধায়কের সঙ্গে হয়ে প্রচার করা ব্যক্তিই BLO! কমিশনে অভিযোগ বিজেপির
BLO: বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তায়ের অভিযোগ, ষষ্ঠী কোড়া তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ। তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন মিটিং মিছিলে তাঁকে দেখা যায়। এমনকী বিধায়ক খোকন দাসের হয়ে তাকে প্রচারও করতে দেখা যায়।'

বর্ধমান: শাসকদলের বিধায়কের এলাকাতেই নিযুক্ত এক বিধায়ক বিএলও ঘনিষ্ঠ। দলের হয়ে কলকাতার মিছিলে যান, ফেসবুকে লাইভও করেন। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি জেলা বিজেপির। বিজেপির দাবি, ‘ওই বিএলও তৃণমূলকর্মী, বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তাই তাকে ওই পদ থেকে সরাতে হবে।’ এই দাবি তুলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে, বিধায়কের দাবি, সব বিএলও-রাই কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের সাপোর্টার। যাকে ডিউটি দিয়েছে, সে করবে। জানা গিয়েছে, বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের রথতলা মনোহর দাস বিদ্যানিকেতনের ১৬৬ নম্বর বুথে বিএলও নিযুক্ত হয়েছেন ষষ্ঠী কোড়া। তিনি পুরসভার কর্মী।
এদিন তাঁর বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তায়ের অভিযোগ, ষষ্ঠী কোড়া তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ। তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন মিটিং মিছিলে তাঁকে দেখা যায়। এমনকী বিধায়ক খোকন দাসের হয়ে তাকে প্রচারও করতে দেখা যায়।’
বিজেপির আরও অভিযোগ, ‘তৃণমূল বিধায়ক তৃণমূলকর্মীদের নাম সুপারিশ করেছেন বলেই এই নাম তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। এদের দিয়ে এসআইআরের কাজ ঠিকমতো হবে না। এরা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করবে। তাই আমরা এর পরিবর্তন চাই।’ ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে মেল মারফত অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানান বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা।
এদিকে এই অভিযোগ সম্পর্কে বিধায়ক খোকন দাস বলেন, বিএলও রা কোনও না কোনও দলের সমর্থক হতে পারে। বাংলার প্রত্যেকটা মানুষই কোনও না কোনও দলের সমর্থক। তিনি স্বীকার করে নেন, ‘ষষ্ঠী কোড়া তৃণমূল সমর্থক। তবে সে কোন মিটিং মিছিলে বক্তৃতা করে না। সে সরকারি কর্মচারী। তাকে ডিউটি দিয়েছে, তাই সে করবে। বিজেপির অভিযোগ খন্ডন করে বিধায়কের দাবি, বিএলও নিয়োগ নিয়ে আমার কোনও ভূমিকা নেই। তবে আমাদের লোকেরা বিএলও-দের সঙ্গে যাবে, যাতে একটাও নাম বাদ না যায়।’
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই বিএলও ষষ্ঠী কোড়া বলেন, “আমি তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করি। আজ ট্রেনিংএ গিয়ে জানতে পারি, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। আমি বর্ধমান পুরসভার ক্লার্ক পদে কর্মরত। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মত কাজ করছি। আগামীতে নির্বাচন কমিশনের অর্ডার মেনে কাজ করব।” তিনি আরও জানান, তাঁর অনেকটাই কাজ এগিয়ে গিয়েছে। নির্দেশ মেনেই কাজ করেছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, পুরসভার কর্মী হিসেবে তিনি খুব ব্যস্ত থাকেন। বিধায়ক তার নাম সুপারিশ করেছেন কি না, তা তাঁর জানা নেই। তবে তিনি স্বীকার করে নেন যে শাসকদলের মিটিং মিছিল হলে আগে তাতে তিনি যোগ দিয়েছেন।
