SSC Tainted List: ‘ইন্টারভিউ দিয়েই চাকরি পেয়েছিল ভাই’, অযোগ্যদের লিস্ট বেরতেই মুখ খুললেন বিধায়ক
SSC Tainted List: TV9 বাংলার প্রতিনিধিরা শান্তনুর বাড়িতে গেলে জানানো হয়, তিনি পঞ্চায়েতে গিয়েছেন। কিন্তু হাটগোবিন্দপুর পঞ্চায়েতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও দেখা পাওয়া যায়নি উপপ্রধান শান্তনু মালিকের। তৃণমূলের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।

বর্ধমান: দীর্ঘ জল্পনার পর সোমবার প্রকাশ হয়েছে অযোগ্য শিক্ষাকর্মীদের তালিকা। তালিকা প্রকাশ হতেই পরপর সামনে আসছে তৃণমূল নেতা বা নেতা-ঘনিষ্ঠদের নাম। তৃণমূল বিধায়কের ভাইয়ের নাম লিস্টে বেরতেই খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা। যাঁর নাম বেরিয়েছে, তিনি শুধু বিধায়কের ভাই নন, তাঁর আরও একটা পরিচয় রয়েছে। তিনি পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও। কীভাবে পেলেন ওই চাকরি! উঠেছে প্রশ্ন। সাফাই দিলেন বিধায়ক।
এসএসসি-র প্রকাশ করা গ্রুপ ডি অযোগ্যদের তালিকায় রয়েছে বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিকের খুড়তুতো ভাই শান্তনু মালিকের নাম। বর্তমানে শান্তনু মালিক হাটগোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। বিজেপির অভিযোগ, বিধায়ক প্রভাব খাটিয়ে ঘুরপথে ভাইকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। আবার বিধায়কের প্রভাবেই নাকি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হয়েছেন শান্তনু, এমনটাই দাবি বিরোধীদের।
এই বিষয়ে শান্তনু মালিকের প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। TV9 বাংলার প্রতিনিধিরা তাঁর বাড়িতে গেলে জানানো হয়, তিনি পঞ্চায়েতে গিয়েছেন। কিন্তু হাটগোবিন্দপুর পঞ্চায়েতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও দেখা পাওয়া যায়নি উপপ্রধান শান্তনু মালিকের। তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।
বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার ভাই সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল। আমার মাধ্যমে চাকরি হয়নি। বিরোধীরা এটা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে। কোর্টের মাধ্যমে চাকরি গিয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলতে চাইনা।” কিন্তু বিজেপি প্রশ্ন তুলছেই। এলাকার বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র প্রশ্ন করেছেন, “অযোগ্য তালিকায় নাম থাকা এক ব্যক্তিকে পঞ্চায়েতের উপ প্রধান করতে হল! স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কি অভাব রয়েছে তৃণমূলে?”
এসএসসি-র তৈরি অযোগ্য শিক্ষাকর্মীদের তালিকায় নাম রয়েছে মোট ৩ হাজার ৫১২ জনের নাম। কোচবিহারের তৃণমূল যুব সভাপতির থেকে বাঁকুড়ার তৃণমূল বুথ সভাপতি, শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত অনেকেরই নাম রয়েছে ওই তালিকায়। সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
