Burdwan: কীভাবে পদপিষ্টের ঘটনা? বর্ধমান স্টেশনের ঘটনায় রেলের ভূমিকায় উঠল প্রশ্ন
Burdwan Station Stampede: রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশনের ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝের ফুটব্রিজে ওঠার সিঁড়িতে আচমকাই পদপৃষ্টের ঘটনা ঘটে। ট্রেন ধরতে গিয়ে হুড়োহুড়ির জেরে পড়ে গিয়ে আহত হন বহু যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ৬ জন এখনও ভর্তি রয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

বর্ধমান: বর্ধমান স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনার পর নিরাপত্তা জোরদার। রেলের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রবিবার সন্ধ্যার ভয়াবহ পদপিষ্টের ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকেই বর্ধমান স্টেশনে দেখা গেল কিছুটা আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিআরপি ও আরপিএফ কর্মীরা টহল দিচ্ছেন নিয়মিত। তবে রেলের দীর্ঘদিনের গাফিলতি নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ যাত্রীরা।
রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশনের ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝের ফুটব্রিজে ওঠার সিঁড়িতে আচমকাই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। ট্রেন ধরতে গিয়ে হুড়োহুড়ির জেরে পড়ে গিয়ে আহত হন বহু যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ৬ জন এখনও ভর্তি রয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
ঘটনার পর থেকেই রেলের পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যাত্রীরা। অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে ওই একই সিঁড়িতে দুর্ঘটনা ঘটলেও রেল প্রশাসন কার্যত উদাসীন। প্রতিবার ঘটনার পর কয়েকদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া হয়, তারপর আবার আগের মতো ঢিলেঢালা হয়ে যায় সব কিছু।
যাত্রীরা বলেন, “প্রায় প্রতিদিনই শেষ মুহূর্তে রেলের তরফে মাইকিং করা হয়। ফলে ফুটব্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে নীচে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। রেলের উচিত আগে থেকে ঘোষণা করা এবং যাত্রী চলাচলের দিকনির্দেশ ঠিক করা।”
অন্যদিকে দুর্ঘটনার পর রেল প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব যে প্রকট তা সামনে এসেছে। কারণ শনিবার রাত ১১ টার সময় যেমন বর্ধমান স্টেশনে হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম বিশাল কাপুর জানান বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জন জখম যাত্রী ভর্তি আছেন। সেখনে ওই একই সময়ে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত প্রেস রিলিজে জানান, ৩ জন যাত্রী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। এখানে তাহলে প্রশ্ন উঠছে রেল প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় নিয়ে। যদিও ডিআরএম বিশাল কাপুর জানান ৮ জন যাত্রী ভর্তি আছেন। তার মধ্যে ৫ জন মহিলা। এর মধ্যে ৩ জনের আঘাত গুরুতর।
