৩ মাসেও এনআরএসে মিলল না বেড! জটিল জন্মগত ত্রুটি নিয়ে লড়াই চালাচ্ছে সাড়ে ৩ মাসের শিশু

সুমন মহাপাত্র |

Dec 29, 2020 | 11:05 PM

পেশায় সবজি বিক্রেতা বিশ্বজিতের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। একাধিকবার এনআরএসের (NRS) চৌকাঠ পার করলেও ছেলের জন্য জোগাড় করতে পারেননি বেড।

৩ মাসেও এনআরএসে মিলল না বেড! জটিল জন্মগত ত্রুটি নিয়ে লড়াই চালাচ্ছে সাড়ে ৩ মাসের শিশু
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

রায়না: জন্ম থেকেই শিশুটির কোমরের অংশ জুড়ে রয়েছে একটি বড় মাংসপিণ্ড। আপাত দৃষ্টিতে তা টিউমারের মতো দেখতে। একের পর এক সরকারি হাসপাতাল ঘুরেও কোথাও অস্ত্রোপচারের জন্য সাড়ে ৪ মাসের রনিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পারেননি রায়না ব্লকের ঘুসটিয়া গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিত মহান্ত। পেশায় সবজি বিক্রেতা বিশ্বজিতের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। একাধিকবার এনআরএসের (NRS) চৌকাঠ পার করলেও ছেলের জন্য জোগাড় করতে পারেননি বেড।

জন্মানোর সময়ই রনিকে দেখে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুটির শরীর থেকে কেটে বাদ দিতে হবে মাংসপিণ্ডটি। না হলে প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে। তারপর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখান থেকে রেফার করে দেওয়া হয় কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু ৩ মাস ধরে হাসপাতালে পাওয়া গেল না বেড। ক্রমেই বাড়ছে রনির কোমরের মাংসপিণ্ড। আর ছেলেক নিয়ে চিন্তা বাড়ছে বাবা বিশ্বজিত ও মনিকার।

এনআরএসে ছেলেকে ভর্তি করার জন্য রায়নার বিধায়ক নেপাল ঘড়ুইয়ের চিঠি নিয়ে সুপারের কাছে গেলেও কাজ হয়নি। সাহায্য চেয়ে ‘দিদকে বলো’ নম্বরেও ফোন করেছেন। তাতে সাহায্যের আশ্বাস মিললেও হাসপাতাল থেকে নিরাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে। সন্তানকে বাঁচাতে মনিকা ও বিশ্বজিত মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। তাদের কাতর আর্জি, একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই বাঁচতে পারে তাদের সন্তান।

আরও পড়ুন: ‘হাফপ্যান্ট পরে প্যারেড করা দিলীপ ঘোষ এখন নেতা হয়েছে’, খোঁচা মলয় ঘটকের

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার চিকিৎসক কুনালকান্তি দে জানিয়েছেন, জন্মগত ত্রুটির কারণে শিশুদের এই ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘নিউরো মাইরোসিল’ বা ‘পিঙ্গো মাইরোসিল।’ এর অস্ত্রোপচার খুবই জটিল। শিশুর প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এই জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য কলকাতার হাসপাতালেই শিশুকে রেফার করতে হয়েছে।” এখন অশ্য রায়নার বিধায়ক আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি ওই শিশু-সহ তার পরিবারকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে আসবেন।

Next Article