Ketugram Crime: পাশের ঘরেই ছিলেন, বৌমার হাত কাটল ছেলে, জানতেই পারলেন না শ্বশুর?
Ketugram Crime: অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী-র ডান হাতের কবজি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রী-কে নার্সের চাকরি করতে দেবেন না বলেই সম্ভবত এমনটা করেন তিনি।
সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পেলে স্ত্রী যদি ছেড়ে চলে যান! এমন সন্দেহেই চাকরি করার আগেই স্ত্রী-র হাত কেটে নিয়েছেন স্বামী। কেতুগ্রামের সেই ভয়ঙ্কর ঘটনায় রেণু খাতুনের স্বামী শের মহম্মদ শেখকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব না হলেও ধরা পড়েছেন শ্বশুর ও শাশুড়ি। ছেলে তো চম্পট দিয়েছেন আগেই, পালানোর চেষ্টা করছিলেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। পালানোর সময়েই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান শ্বশুর ও শাশুড়ি। তবে ছেলের কীর্তির কথা নাকি জানতেই পারেননি, এমনটাই দাবি করেছেন তাঁরা। একই ঘরে থেকে কেন তাঁরা কিছু টেরই পেলেন না, প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই।
মঙ্গলবার ভোর রাতে কেতুগ্রাম ছেড়ে বাসে করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন শের মহম্মদ শেখের বাবা সিরাজ শেখ ও মা মেহেরনিকা বিবি। সেই সময় তাঁদের হাতেনাতে ধরে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। কেতুগ্রাম থানা থেকে এ দিন তাঁদের পুলিশি রিমান্ড চেয়ে কাটোয়া আদালতে পাঠানো হয়। তবে মূল অভিযুক্তের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনও। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ।
ঘটনার সময় পাশের ঘরেই ছিলেন শ্বশুর সিরাজ শেখ। তাঁর দাবি, একই বাড়িতে থেকেও কিছু জানতে পারেননি তিনি। সিরাজ শেখ জানিয়েছেন, ঘরে ফ্যানের আওয়াজ হওয়ায় কিছু শুনতে পাননি তিনি। পরে বৌমার চীৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন। এরপর আসল ঘটনা বুঝতে পারেন তাঁরা। এর পরেই ছেলে মহম্মদ বৌমাকে নিয়ে হাসপাতালে যান। এরপর থেকে ছেলের আর কোনও খোঁজ নেই বলেই জানিয়েছেন বাবা সিরাজ শেখ।
রেণুর পরিবারের দাবি, ছোট থেকেই মেধাবী ছিলেন তিনি। অনেক অভাব-অনটনের মধ্যে দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান তিনি। যথাসাধ্য সহযোগিতা করেন তাঁর বাবাও। রেণুর স্বপ্ন ছিল নার্স হওয়ার। বেসরকারি জায়গা থেকে নার্সিং কোর্স করে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চাকরিও পান তিনি। ওইখানেই কাজের সুবাদে শের মহম্মদের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। কিন্তু সরকারি চাকরির প্যানেলে স্ত্রীর নাম আসতেই বাড়িতে অশান্তি শুরু করেন শের। একাধিকবার বাধাও দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই চাকরি করতে দেবেন না বলেই সম্ভবত স্ত্রী-র হাত কেটে নিয়ে ব্যাগে ভরে পালিয়ে যান তিনি।
ধৃত সিরাজ সেখ ও মেহেরনিকা বিবিকে ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন কাটোয়া মহকুমা আদালতের বিচারক। আগামী ১৩ জুন ফের আদালতে ধৃতদের হাজির করতে হবে।