Ketugram Crime: কবজি কেটে নিয়ে পালিয়েছে স্বামী, প্যানেলে নাম থাকা রেণু কি পাবেন নার্সিংয়ের চাকরি?
Nursing Job: কেতুগ্রামের বাসিন্দা স্বামী শেখ মহম্মদকে ভুল প্রমাণ করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়।
কলকাতা : স্ত্রী নার্সের চাকরি পেয়েছিল। সরকারি চাকরি। আর তাতেই স্বামী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল স্বামী। স্ত্রী যদি ছেড়ে চলে যায়! আর এই নিরাপত্তাহীনতা থেকেই মাথার ঠিক রাখতে স্ত্রীর ডান হাতে ধারাল অস্ত্রের কোপ দেয় স্বামী। ডান হাতের কবজি কেটে নিয়ে তা ব্যাগে ভরে চম্পট দেয় স্বামী। তারপর থেকেই হাত কাটা যাওয়া কেতুগ্রামের রেণু খাতুন আর চাকরি পাবেন কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সংশয় জাগতে শুরু করেছিল। কিন্তু রেণুকে অভয়বাণী দিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়। রেণুর স্বামী শের মহম্মদ শেখ হয়ত ভেবেছিল, হাত কাটলে ঘরের স্ত্রী বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবে না। যোগ দিতে পারবে না সরকারি নার্সিংয়ের চাকরিতে।
কিন্তু কেতুগ্রামের বাসিন্দা স্বামী শেখ মহম্মদকে ভুল প্রমাণ করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়। তিনি টিভি নাইন বাংলাকে জানিয়েছেন, রেণু খাতুনের চাকরিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। নিয়োগ বোর্ডের তালিকায় নাম রয়েছে রেণুর। সেই তালিকা অনুযায়ী পোস্টিং বেরোবে। পোস্টিংয়ের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটে পাশ করার প্রশ্নে সরকারি নিয়মে কোনও বাধা নেই বলেই জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। তাঁর বক্তব্য,নার্সিংয়ে অনেক ধরনের কাজ থাকে। একহাতেই সে সব কাজ করে স্বামীকে ভুল প্রমাণ করার সুযোগ রেণুর কাছে রয়েছে বলে মনে করেন নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান।
এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, রেণু কাজে যোগ দেওয়ার আগে মেডিক্যাল বোর্ডের কাছে নিজের বক্তব্য জানালে আবেদন খতিয়ে দেখা হবে। নার্সিং বিভাগের অন্য আধিকারিকদের একটি অংশের প্রশ্ন, কাজে যোগ দেওয়ার পরে দুর্ঘটনা ঘটলে কি কারও চাকরি চলে যায়? এই ঘটনাটিকেও দুর্ঘটনা হিসেবে দেখাই ভাল বলে মনে করছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে শের মহম্মদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রেণুর। বিয়ের পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে নার্সিং কোর্স করেন তিনি। এরপর সরকারি চাকরির প্যানেলে নামও আসে তাঁর। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি তাঁর স্বামী। স্ত্রীর হাতের কবজি কেটে নিয়ে চম্পট দেয় সে।