Murder in Bhowanipore: ভবানীপুরে ‘দুয়ারে দুষ্কৃতীর তাণ্ডব, জোড়া খুনের ত্রাস’, টুইটারে খোঁচা শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: সোমবার সন্ধ্যায় ভবানীপুর হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট থেকে এক দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এখনও অবধি পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে স্বামী, স্ত্রীকে।
কলকাতা: ভবানীপুরের ঘটনা নিয়ে এবার সরব বিজেপি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে এক হাত নিয়ে সুর চড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির দাবি, বাংলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি কতটা তা এই ধরনের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। এদিন টুইটারে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “থানার আইসি যখন ব্লক সভাপতি সেজে মেটায় গোষ্ঠী কোন্দল, অকাজের ঢেঁকি মমতা-পুলিস বটে হয়েছে দলদাস। তাই তো আজ দুয়ারে দুষ্কৃতীর তাণ্ডব, জোড়া খুনের ত্রাস।” প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর রেসিডেন্স কাম অফিসে পুলিশের তল্লাশির পর পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ করেছে। তবে কিছুই করতে পারবে না। মানুষ পাশে আছেন। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নাম আজ থেকে আমি দিয়েছি মমতা পুলিশ।” এদিনও আরও একবার সেই কটাক্ষই শোনা গেল তাঁর টুইটে।
থানার IC যখন ব্লক সভাপতি সেজে মেটায় গোষ্ঠী কোন্দল, অকাজের ঢেঁকি মমতা-পুলিস বটে হয়েছে দলদাস। তাই তো আজ দুয়ারে দুষ্কৃতীর তাণ্ডব, জোড়া খুনের ত্রাস। pic.twitter.com/zHHo8invv5
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 7, 2022
অন্যদিকে বাগডোগরা থেকে কলকাতায় ফিরে দমদম বিমানবন্দরে দাড়িয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবাংলায় এ ধরনের হত্যা, মৃত্যু যেখানে সেখানে হচ্ছে। ডেড বডি পাওয়া যাচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারের একজন এসআই-এর হত্যা করা হলো সেই নিয়ে আমি পোস্ট করেছি বলে আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। এখন পুলিশ প্রশাসন, সাধারণ মানুষ কেউ সুরক্ষিত নয় পশ্চিমবাংলায়।”
সোমবার সন্ধ্যায় ভবানীপুর হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট থেকে এক দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এখনও অবধি পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে স্বামী, স্ত্রীকে। হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের মতো জায়গায় ঘরে ঢুকে কীভাবে কেউ খুন করল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে যান কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। তিনি জানান, দ্রুতই ঘটনার কিনারা হবে। অন্যদিকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও যান অকুস্থলে। তাঁর বক্তব্য, “ক্রিমিনাল ক্রাইম করে বেরিয়ে যেতে পারবে না। কলকাতা পুলিশ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পরেই। গ্রেফতার হবেই।” যদিও বিজেপি এই ইস্যুতে তুলোধনা করতে ছাড়েনি রাজ্য সরকারকে।