Trinamool Congress: কাটমানি চেয়ে ঠিকাদারের বুকে লাথি মারার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূলের উপপ্রধান

Trinamool Congress: অভিযোগ, গত ২৮ তারিখ সন্ধ্যা নাগাদ ঠিকাদার উত্তম সিংহ রায়কে ব্যাপক মারধর করেন উপপ্রধান। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান গোপেশ্বর মণ্ডল।

Trinamool Congress: কাটমানি চেয়ে ঠিকাদারের বুকে লাথি মারার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূলের উপপ্রধান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 8:36 PM

কালনাঃ উপপ্রধানকে কাটমানি দিতে অস্বীকার করায় ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায়  উপপ্রধান। কালনা ১ নম্বর ব্লকের আটঘরিয়া সিমলন গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটেছে এ ঘটনা। আহত ঠিকাদার উত্তম সিংহ রায় এই ঘটনার পরেই কালনা থানা এবং বিডিও সেবন্তী বিশ্বাসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা থানার দ্বারস্থ উপপ্রধান গোপেশ্বর মণ্ডল। তাঁর দাবি, কাজ বুঝে নিতে গেলে তার উপর চড়াও হন ঠিকাদার। ইতিমধ্যেই ঠিকাদারের নামে অভিযোগ করেছেন পুলিশের কাছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।  

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানা। ঘটনা প্রসঙ্গে বিডিও সেবন্তী বিশ্বাস জানান, “অভিযোগ পেয়েছি। মারধরের ঘটনা ঘটে থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সূত্রের খবর, কালনার আটঘরিয়া সিমলন গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে সম্প্রতি টেন্ডার ডেকে ঠিকাদারদের বেশ কিছু কাজের বরাত দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই কাজের জন্য ঠিকাদারদের কাছ থেকে ১০ শতাংশ হারে কাটমানি চেয়েছেন 

উপপ্রধান গোপেশ্বর মণ্ডল। টাকা না দিলে নানাভাবে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঠিকাদার উত্তম সিংহ রায় সেই কাটমানি দিতে অস্বীকার করায় তাঁর সঙ্গে ঝামেলা হয় উপপ্রধানের। অভিযোগ, গত ২৮ তারিখ সন্ধ্যা নাগাদ ঠিকাদার উত্তম সিংহ রায়কে ব্যাপক মারধর করেন উপপ্রধান। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান। গোপেশ্বর মণ্ডলের দাবি, “আমি উপপ্ৰধান। টাকা চাইলে প্রধান চাইবে। আমি কাজ বুঝে নিতে গিয়েছিলাম। দেখভালই আমার কাজ। গোটা বর্ধমান জেলায় ই-টেন্ডারের লড়াই প্রথম আমি করেছিলাম। কাজ দেখতে গিয়েছিলাম। তখনই আমাকেই ওরা আক্রমণ করেছে। ওরা তখনই আমাকে মারধর করা হয়েছে।” ঠিকাদার উত্তম সিংহ রায় বলেন, “আমাদের আগেও নানাভাবে ব্ল্যকমেল করেছিল। টাকা না দিলে না কাজ না দেওয়া হুমকি দেয়। আগে আমাদের থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে গোপেশ্বর। ই-টেন্ডার হওয়ার পর থেকে আমরা বলি আমরা আর টাকা দেব না। সব ঠিকাদার মিলে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু, ও টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। বলে টাকা না দিলে বিল আটকে দেব। প্রায় ২৩-২৪ লক্ষ টাকার পঞ্চায়েতের কাজ হয়েছে। তারমধ্যে ও ১০ শতাংশ কমিশন চাইছে। তখনই তর্কবিতর্ক হওয়ার সময় আমার বুকে লাথি মারে।”