Purba Bardhaman: পেরেকযুক্ত বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার, বাবাকে খুনে অভিযুক্ত ছেলে
Son allegedly killed father: প্রতিবেশীরা এসে আহত অবস্থায় বিপত্তারণকে উদ্ধার করে প্রথমে খণ্ডঘোষ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানেই রাত একটা নাগাদ মৃত্যু হয় বিপত্তারণ রায়ের।

খণ্ডঘোষ: ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম বিপত্তারণ রায়(৫০)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের সগড়াইয়ের রায়পাড়ার। অভিযুক্ত প্রদীপ রায়কে গ্রেফতার করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। স্বামীকে হারিয়েছেন কান্নায় ভেঙে পড়েন বিপত্তারণের স্ত্রী। ছেলের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
জানা গেছে, রবিবার সন্ধে ছ’টা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন প্রদীপ রায়। আচমকা বাবার উপর হামলা চালান। বিপত্তারণকে মারধর শুরু করেন। এই প্রথম নয়। অভিযুক্ত প্রদীপ রায় দীর্ঘদিন ধরেই মদ্যপ অবস্থায় বাবা-মাকে প্রায় মারধর করতেন বলে অভিযোগ। রবিবারও প্রদীপ পেরেকযুক্ত একটি বাঁশ দিয়ে বাবাকে এলোপাথাড়িভাবে মারধর করেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বিপত্তারণ রায়।
পরে প্রতিবেশীরা এসে আহত অবস্থায় বিপত্তারণকে উদ্ধার করে প্রথমে খণ্ডঘোষ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানেই রাত একটা নাগাদ মৃত্যু হয় বিপত্তারণ রায়ের।
অভিযুক্ত প্রদীপ রায়কে গ্রেফতার করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না মৃতের স্ত্রী। তিনি বাড়ি ফিরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শোকস্তব্ধ এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। স্বামীকে খুনে অভিযুক্ত ছেলের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিযুক্ত প্রদীপের মা। ছেলেকে ফাঁসি কাঠে ঝোলানোর দাবি জানালেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছর ছাব্বিশের প্রদীপ নিজের স্ত্রীর উপরও অত্যাচার করতেন। সেজন্য স্ত্রী ছোট সন্তানকে নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছেন।
