Child Death: হঠাৎ বেপাত্তা বাচ্চাটা! পাশের কচুরিপানা ভর্তি জল থেকে ভেসে উঠল ছোট্ট মুখ

Kalna: পরিবারের লোকজন প্রথমে ভেবেছিল, অলিগলি পথ, তাতেই কোনও ভুল করে বসেছে। শুরু হয় খোঁজ।

Child Death: হঠাৎ বেপাত্তা বাচ্চাটা! পাশের কচুরিপানা ভর্তি জল থেকে ভেসে উঠল ছোট্ট মুখ
বাড়ির বাচ্চাকে হারিয়ে শোকে মূহ্যমান পরিবার। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2021 | 11:55 PM

কালনা: ছুটির রবিবারে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে আসাই কাল হল ছোট্ট ছেলেটির! জলে ডুবে বেঘোরে গেল প্রাণটা। রবিবার সন্ধ্যায় কালনায় ঘটনাটি ঘটে। বীরভূমের লাভপুর থেকে এদিন কালনায় আসে তারা। অম্বিকা কালনা দর্শন করে সন্ধ্যায় নবদ্বীপে ফেরার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা।

বীরভূমের লাভপুর চৌহাট্টা মোহদরি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখান থেকেই পরিবারের সঙ্গে রবিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় বেড়াতে এসেছিল বছর নয়েকের প্রহ্লাদ মণ্ডল। দিনভর কালনার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দুপুরের পর কালনায় ভবা পাগলার মন্দির দর্শন করতে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। মন্দির ঘুরেও দেখে তারা। প্রহ্লাদদের সঙ্গে আসা এক ব্যক্তি জানান, মন্দির দেখার পর ও ওর দাদুকে বলল, মায়ের কাছে অটোতে গিয়ে বসছে। এরপর থেকেই ওর আর খোঁজ নেই।

পরিবারের লোকজন প্রথমে ভেবেছিল, অলিগলি পথ, তাতেই কোনও ভুল করে বসেছে। শুরু হয় খোঁজ। দীর্ঘক্ষণ পর মন্দির লাগোয়া একটি কচুরিপানা ভর্তি জলাশয়ে টর্চের আলো ফেলতেই দেখা যায় ভেসে রয়েছে একটি মাথা। পরে দেখা যায়, প্রহ্লাদই ভাসছে।

এলাকাবাসী ও পরিবারের অনুমান, রাতের অন্ধকারে পানাভর্তি জলাশয়কে মাঠ ভেবে ভুল করেছিল সে। তাতেই এই বিপত্তি ঘটে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কালনা থানার পুলিশ। জল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, এই শরীর থেকে প্রাণটুকু বেরিয়ে গিয়েছে।

এভাবে বেড়াতে এসে সন্তানহারা হয়ে সমানে কেঁদে চলেছেন প্রহ্লাদ মণ্ডলের মা। পরিবারের লোকজনও দিশাহারা। শিশুটির পরিবার-সহ এলাকাবাসীর দাবি, মন্দির সংলগ্ন যে জলাশয়টি রয়েছে সেখানে অন্তত একটা গার্ডওয়াল দেওয়া হোক। এটি জলাশয় নাকি মাঠ তা দেখে বোঝার জো নেই।

মৃতের এক আত্মীয় জানান, “আমরা বিকেল ৫টা ১০ নাগাদ যখন ভবা পাগলার মন্দিরে আসি ধীরে ধীরে অন্ধকার হচ্ছিল চারপাশ। বাচ্চাটা প্রথমে মায়ের কাছেই বসেছিল অটোয়। পরে দাদুর কাছে আসে, আবার মায়ের কাছে যাবে বলল। ওর দাদু বলল, অন্ধকার হয়ে গেছে, অচেনা জায়গা আমার সঙ্গেই যাবি। ও দৌড়ে চলে এসেছে। এদিকে অটোর কাছে এসে দেখি ও নেই। আমরা ভেবেছি অলিগলি রাস্তায় ভুল করে কোথাও ঢুকে পড়েছে। তখনও মাথাতেই আসেনি এখানে যে ডোবা আছে।”

স্থানীয় এক বাসিন্দা সুরজিৎ ঘোষ জানান, “আমাদের প্রথমে জলাশয়ের কথা মাথাতেও আসেনি। বাইক নিয়ে এদিক ওদিক খুঁজেছি। এক দেড় ঘণ্টা খোঁজের পর শেষে মন্দিরের সামনে অনেকটা চৌবাচ্চার মতো জলাশয়ে দেখি পড়ে আছে।” ওই শিশুর পরিবারের লোকজনের দাবি, এখানে একটা গার্ডওয়াল দেওয়া হোক। যাতে এমন বিপদ আর কারও না হয়।

আরও পড়ুন: Chancellor Controversy: ‘উনি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী, বয়ে গেছে মনোনীত রাজ্যপাল হতে’! ধনখড়কে বিঁধলেন ব্রাত্য