Purbo Burdwan: হিমঘরের মালিক আলু বেচে দিয়েছেন, বিক্ষোভ চাষিদের
Purbo Burdwan: হিমঘর কর্তৃপক্ষ কৃষকদের কাছ থেকে আলু ফেরত দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নিচ্ছে। কিন্তু তাতে রাজি নয় কৃষকরা। চাষিরা মেমারি ২ নম্বর ব্লকে বিডিওর কাছে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। বিডিও জানিয়েছেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হবে।
বর্ধমান: ফের হিমঘরে আলু রাখা নিয়ে গন্ডগোল পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। হিমঘরে রাখা আলু না পেয়ে মেমারির পাহাড়হাটি হিমঘরে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন কৃষকরা। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, হিমঘরে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আলু রাখার কথা।শুক্রবার কৃষকরা হিমঘরে গিয়ে তাদের আলু নিতে চাইলে হিমঘর কর্তৃপক্ষ জানায় তারা সেই আলু বিক্রি করে দিয়েছে। এরপর বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে তাদের রাখা আলু ফেরত দিতে হবে।
অন্যদিকে হিমঘর কর্তৃপক্ষ কৃষকদের কাছ থেকে আলু ফেরত দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে নিচ্ছে। কিন্তু তাতে রাজি নয় কৃষকরা। চাষিরা মেমারি ২ নম্বর ব্লকে বিডিওর কাছে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। বিডিও জানিয়েছেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হবে।
চাষি বিকাশ হাজরা বলেন, “আমার ১২ বস্তা আলু আছে। তার মধ্যে পাঁচ বস্তা বার করেছি, হিমঘরে সাত বস্তা খাওয়ার আলু আছে। এখন ওরা বলছেন, আলু আর নেই, আলু বেচে দিয়েছি। এখনও পয়সা আসেনি। অনুপাতের ভিত্তিতে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। সরকারি তারিখ ৩১ ডিসেম্বর। তার আগেই উনি বেচে দিয়েছেন। আমাদের এখন আলু ফেরত চাই।”
হিমঘরের ম্যানেজার বাসুদেব রায় বলেন, “নভেম্বরে আলু রাখা শেষ হয়ে যায়। নভেম্বরে সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ২৬ নভেম্বর মাইকিং করি, স্টোরে সামান্য পরিমাণ আলু রয়েছে। সেই আলু নিয়ে স্টোর চালানো যায় না। চাষিদের বলি, আলু নিয়ে যান। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করি। তারপরও যারা আলু নেয় না, সেই আলুর মান অতীতে খারাপ হতে থাকে। সেই আলু আমরা রেখেছি, সেই ভাড়া আমাকে পেতে হবে। সেই ভাড়া পাওয়ার জন্য আলু বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।”