Raju Jha Murder Case: খুনের কয়েক ঘণ্টা আগে হোটেলে রাজু-লতিফের বৈঠক, কী হয়েছিল সেই বৈঠকে? জানালেন হোটেল কর্মী
Raju Jha Murder Case: দুর্গাপুর শহরের সিটি সেন্টারে রাজু ঝার হোটেল ফরচুন পার্ক সিটি সেন্টার। শনিবার বিকালে এই হোটেলেই আব্দুল লতিফের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। তারপর সন্ধ্যায় কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন রাজু।
শক্তিগড়: গরু পাচারে অভিযুক্ত সিবিআই-এর চোখে ফেরার আব্দুল লতিফের গাড়িতেই ‘খুন’ হয়েছেন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। কিন্তু গরু পাচারে অভিযুক্তের গাড়িতে কেন কয়লা মাফিয়া? রাজু-আব্দুলের সম্পর্কের কি অন্য কোনও সমীকরণ? তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার দিন রাজু ঝার হোটেলেই উঠেছিলেন আব্দুল লতিফ। সূত্র বলছে, হোটেলে রাজুর সঙ্গে বৈঠক হয় আব্দুল লতিফের। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। দুর্গাপুর শহরের সিটি সেন্টারে রাজু ঝার হোটেল ফরচুন পার্ক সিটি সেন্টার। শনিবার বিকালে এই হোটেলেই আব্দুল লতিফের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। তারপর সন্ধ্যায় কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন রাজু।
হোটেলের কর্মীরা বলছেন, বৈঠকের সময়ে রাজু ও আব্দুল লতিফের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেটা এতটাই বাড়াবাড়ি হয় যে দু’জনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের আঁচ পান হোটেল কর্মীরাও। জানা যাচ্ছে, যে সাদা গাড়িতে রাজু কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন, তার পিছনের আসনে ছিলেন ব্রতিন মুখোপাধ্যায়, আব্দুল লতিফ। আব্দুলেরই চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
গাড়িটি যখন শক্তিগড় ল্যাঙচা হাবে দাঁড়ায়, তখন চালক নেমে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। পিছনের আসনে ছিলেন ব্রতিন। আর সামনের আসনে ছিলেন রাজু। ব্রতিনেরও বাঁ হাতে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু হামলার সময়ে আব্দুল লতিফ গাড়িতে ছিলেন কিনা, না থাকলে কোথায় নেমে যান, তা নিয়েই রহস্য রয়েছে। চালকের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। চালককে আপাতত জেরা করছেন তদন্তকারীরা। প্রশ্ন উঠছে, কেন হঠাৎ করে শক্তিগড়ে গাড়ি দাঁড় করালেন চালক? কারোর কি নির্দেশ ছিল? সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।