Katwa: সুদে টাকা নিয়ে ফের বিপত্তি, কারবারীদের হুমকির মুখে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা শিক্ষকের
purba bardhaman: এমন অবস্থায় পুলিশের উদ্দেশে একটি সুইসাইড নোট লেখেন ও ই শিক্ষক। তবে বরাত জোরে তা সন্তান দেখে ফেলায় প্রাণ বাঁচে তাঁর।
কাটোয়া: প্রয়োজনে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ধার নিয়েছিলেন এক শিক্ষক। চড়া হারে সুদের জেরে তা বর্তমানে আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছেন।সেই টাকা শোধ করার জন্য আরও ব্যক্তির কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হয় ওই শিক্ষককে।অভিযোগ, সেই ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় লাগাতার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে। এমন অবস্থায় পুলিশের উদ্দেশে একটি সুইসাইড নোট লেখেন ও ই শিক্ষক। তবে বরাত জোরে তা সন্তান দেখে ফেলায় প্রাণ বাঁচে তাঁর।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের ঘটনা। জানা গিয়েছে, বাবার চিকিৎসার জন্য পরিচিত বুড়ো প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হরিসভা পাড়ার বাসিন্দা অনিমেষ সরকার। পেশায় স্কুল শিক্ষক তিনি।
২০১৯ সালের ঋণ নেওয়া পাঁচ লক্ষ টাকা চড়া সুদের চক্রে পড়ে এখন তা দশ লক্ষ টাকা দাঁড়িয়েছে। সেই টাকার সুদ পরিশোধ করতে অনিমেষবাবুকে আরও ব্যক্তির কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হয়। তিন বছরে চড়া সুদের কারবারিদের চক্রে ফেঁসে অনিমেষ বাবুর আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনও পথ নেই বলে পুলিশকে লিখিত ভাবে জানায়।
ওই শিক্ষককের অভিযোগ, চড়া সুদের কারবারিরা লাগাতার হুমকি দিতে থাকে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে। টাকা শোধ না করলে তাঁর পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও জানান তিনি। এমনকী অনিমেষবাবুর নাবালক সন্তানও ছাড় পায়নি।
সূত্রের খবর, আসল-সুদ মিলিয়ে বিশাল পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হয়।টাকা পরিশোধ করতে না পারলেই জোর জবস্তি ভিটে-মাটি লিখে নেয় সুদ কারবারীরা। এই বিশাল চক্রের সন্ধানের তদন্তে নেমেছে কাটোয়া থানার পুলিশ।
ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চড়া সুদের কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। যারা সুদের চক্র চালায় শহরে। কাটোয়ার এসডিপিও কৌশিক বসাক বলেন, ‘নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে পীযুষ কান্তি দে, সন্দীপ কোনার, চঞ্চল কুমার দে এবং মৃণাল কান্তি দে। তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ এরপর ধৃত চারজনকেনিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় কাটোয়া থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেও সুদ কারবারি টাকা শোধ না করায় কেতুগ্রামে এক সরকারি কর্মীকে রেল লাইনে হাত-পা বেঁধে রাখার অভিযোগ ওঠে সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে। এর জেরে পা খোয়া যায় ওই কর্মীর। এরপর ফের এই ঘটনার অভিযোগ।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘এই সব ঘটনা এর আগে আমরা উপন্যাসে পড়েছি। এখন দেখছি বাস্তবে চলছে। কীভাবে এই সব সুদের কারবার চালাচ্ছে? এ তো বেআইনি কারবার। অর্থাৎ তৃণমূল আমলে যে কাটমানির রাজত্ব চলছে কাটোয়া তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।’