Purba Bardhaman: ‘পার্টির লোক ডেকে আনব’, মদ্যপ অবস্থায় সরকারি হাসপাতালে ঢুকে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে গালাগালি রোগীর পরিবারের লোকজনের
Purba Bardhaman:
বর্ধমান: যে সময় জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের সুরক্ষার দাবিতে আন্দোলন করছেন, ঠিক সেই সময় ফের স্বাস্থ্য কর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান থেকে। কর্তব্যরত অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক নার্সিংস্টাফকে মারমুখি অবস্থায় হুমকি ও গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করলে পার্টির লোক ডেকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সোমবার সন্ধ্যেয় ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মানসিক বিভাগে। স্বাস্থ্য কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে বর্ধমান থানার পুলিশকে একজনকে আটক করেছে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ও হাসপাতালের নার্সিংস্টাফ লীলাবতী পাল-এর অভিযোগ, রোগীর আত্মীয় হিসেবে তিনজন তাঁদের কাছে আসেন। ভর্তির সময় নাম ভুল লেখা হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা। সেই নাম পরিবর্তন করতে হবে বলে জানিয়ে শুরু থেকেই তাঁরা অভব্য আচরণ করছিলেন। অভিযোগ, টেবিলে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও ছুড়ে ফেলে দেন। তাঁদের মধ্যে একজন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও দাবি লীলাবতির। ওই মদ্যপ ব্যক্তি ক্রমাগত অভব্য আচরণ করছিলেন এবং মারমুখী ভঙ্গীতে নানা কটুক্তি করছিলেন বলে অভিযোগ। লীলাবতী পাল বলেন, “এমআরআই করার কথা ছিল। আধার কার্ডে এক নাম আর রোগীর আর এক নাম বলছে। এবার নাম চেঞ্জ তো এমএসভিপি-র কাছে করতে হবে। আমি সেই কথাটাই পরিবারের লোকজনকে বলি। বলার পরই বলছে আমাদের বিএসটি দিতে হবে। আমরা সেটা দিতে পারি না। এরপরই আমায় মারতে যায় রোগীর পরিবারের লোক। খুব বাজেভাবে ব্যবহার করেছে। এমনকী পরিবারের লোকের একজন মদ্যপ অবস্থায় এসেছেন।”
কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আর এক নার্স মাধুরী বটব্যাল জানান, “আউটডোর শেষ হবার পর মানসিক বিভাগটি ফাঁকা হয়ে পড়ে। এখানে জোরদার সিকিউরিটি দরকার।”
এ দিকে, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বর্ধমান শহরের বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ার শেখ চাঁদ বলে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তবে এদিনের ঘটনায় আতঙ্কিত হাসপাতালের অনান্য নার্সিংস্টাফ ও জুনিয়ার ডাক্তাররা। নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। পিজিটি ড.অনিক মণ্ডল জানান, “কীভাবে একজন মদ্যপ তিনতলায় উঠে এসে হুমকি দিল? তা খুব চিন্তার ব্যাপার। আমরা নিরাপত্তা জোরদার হোক এটাই চাই।” সম্প্রতি, পূর্ব মেদিনীপুরে এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। এরপর ফের স্বাস্থ্য কর্মীকে হেনস্থার ঘটনা ঘটল এ রাজ্যেই।