TMC Group Clash: একে অপরকে কটূক্তি, তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মেমারি
Purba Bardhman: মেমারি (memari) চেকপোস্টের ঘটনা। সেখানে বৃহস্পতিবার দু'পক্ষের গালিগালাজ ও বচসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
বর্ধমান: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। শাসক (TMC) থেকে বিরোধী (BJP) প্রতিটি শিবির নিজেদের জমি ধরে রাখতে মরিয়া। এর মধ্যে উত্তেজনা ছাড়াল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মেমারিতে (Memari)। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের (TMC Clash) জেরে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ (Police)।
মেমারি (memari) চেকপোস্টের ঘটনা। সেখানে বৃহস্পতিবার দু’পক্ষের গালিগালাজ ও বচসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গুরুতর আহত হন চারজন। চিকিৎসার জন্য তাঁদেরকে নিয়ে আসা হয় মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে। এরপর দু’পক্ষকই মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করে.
জখম তৃণমুল নেতা (TMC) প্রসূণ দাসের অভিযোগ, তাঁদের একটি ছেলেকে গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। তখনকার মতো সমস্যা মিটে গেলেও দোকানে গিয়ে মেমারির শহর সভাপতি স্বপন ঘোষালের অনুগামীরা লাঠি, রড দিয়ে মারধর ও দোকান ভাঙচুর করে। প্রসূণ বলেন, ‘আমি পাড়ার চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। সুভাষ পণ্ডিত নামে একটি ছেলে, আমাদের সঙ্গে আড্ডা মারে। পুরো মদ খেয়ে এসে আমায় অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। খারাপ কথা বলে। আমি প্রথমে বাধা দিতে যাই। শোনেনি কোনও কথাই। তারপর মারতে উদ্যত হয়। আমি নিজেকে বাঁচাতে ওকে আটকাই। আমার মাথায় খুব আঘাত লেগেছে। এরপর মেমারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় আমাদের। সেখানেই চিকিৎসকরা চিকিৎসা করেছেন। আমার মাথায় চোটের কারণে ব্যান্ডজ বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
পাল্টা সুভাষ পণ্ডিতের মা অনিমা পণ্ডিত মারধর ও দোকান ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলে বাড়ি আসার সময় ওরা গালিগালাজ করে। সেই গালিগালাজকে কেন্দ্র করে বচসা এবং তারপরই আমার ছেলেকে রড দিয়ে মারধর করে। আমি তৃণমূল করি কিন্তু আমার ছেলে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। গোটা ঘটনায় পরিপেক্ষিতে মেমারি থানার পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।