Jamalpur Hanging Body Found: দুই বোন ঘুমিয়েছিলেন, ভোরে বাড়ির পিছনেই ছোট বোনের ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখল পরিবার
Jamalpur Hanging Body Found: পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজকার মতো খাওয়া সেরে রাতে শুতে চলে গিয়েছিলেন দুই বোন। আর পাশের ঘরেই ছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
পূর্ব বর্ধমান: রাতে দুই বোন এক সঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু সকালে ছোটো বোনকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না বাড়ির লোক। খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে বাড়ির পিছনেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাড়ির মেয়েকে দেখলেন পরিবারের সদস্যরা। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঘরের পিছনের অংশে কার্নিশের সঙ্গে ঝুলছেন যুবতী। দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও, চোখ পড়ে পায়ের দিকে। দুটো পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। পরিবারের অভিযোগ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন খুন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জামালপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজকার মতো খাওয়া সেরে রাতে শুতে চলে গিয়েছিলেন দুই বোন। আর পাশের ঘরেই ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সকালে হঠাৎই তাঁরা বড় মেয়েকে দেখতে পাচ্ছিলেন না। পরিবারের সদস্যরা তাঁর খোঁজ শুরু করেন। আশপাশের এলাকা ঘুরেও খোঁজ পাননি। পরে থানায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা। সে সময়েই বাড়ির পিছনে কার্নিশের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন মেয়ে। পা দুটো বাঁধা ছিল বলে পরিবারের দাবি।
সেই জন্য পুরো ঘটনাকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে । আত্মহত্যা যদি হয় তাহলে পায়ে দড়ি বাঁধা কী করে ? আপাতত জামালপুর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতার দাদা জানাচ্ছেন, গত বৃহস্পতিবার তাঁদের একটি ছাগল মারা গিয়েছিল। সেই দিন থেকে বোনের মন খারাপ ছিল। খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করছিলেন না। তবে সেই ঘটনার কারণে বোন এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেটাও মানতে পারছেন না তাঁরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এর নেপথ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কোনও বিষয় রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।