Katwa Medical: সাপের কামড় খেয়ে হাসপাতালে এসে রোগী শোনেন, সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ডেও সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে…
Katwa: অভিযোগ, শুক্রবার রাতে কাটোয়া হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে প্রথমে সাপটি দেখা যায়। তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করা হলে ওয়ার্ডের নার্সিং কার্যালয়ে লুকিয়ে পড়ে।
পূর্ব বর্ধমান: সাপে কেটেছে। তাই হাসপাতালে ভর্তি হন বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি। পরে জানতে পারেন, যে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছেন, সেখানেই সাপের আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া হাসপাতালের ঘটনা। সাপ ধরতে ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে বনদফতরকে। শুক্রবার রাতে নার্সদের একটি বাক্সের ভিতর এই সাপ দেখা যায় বলে অভিযোগ। এরপরই তুমুল আতঙ্ক ছড়ায়। সকলে ভয়ে সিঁটিয়ে যান। রোগীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
অভিযোগ, শুক্রবার রাতে কাটোয়া হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে প্রথমে সাপটি দেখা যায়। তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করা হলে ওয়ার্ডের নার্সিং কার্যালয়ে লুকিয়ে পড়ে। এর পর থেকে চিকিৎসক ও নার্সরা কেউই ভয়ে নার্সিং কার্যালয়ে ঢোকার সাহস করেননি। আলাদা জায়গায় বসে কাজ করছেন তাঁরা। এদিকে এই ওয়ার্ডের পাশেই সাপের কামড়ে জখম হয়ে আটজন ভর্তি রয়েছেন। অন্যান্য ওয়ার্ডেও শতাধিক রোগী ভর্তি। হাসপাতাল সুপার জানান, বহু চেষ্টা করা হলেও ওই সাপের আর দেখা মেলেনি।
তরুণকুমার সাহা সাপের কামড় খেয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাকেই সাপে কামড়েছে। আমি আবার এখানে এসে শুনছি হাসপাতালে সাপ বেরিয়েছে। আমরা তো মাঠেঘাটে কাজ করি, সাপের সঙ্গেই কাজ করতে হয়। কিন্তু হাসপাতালেও দেখি সাপ ঘুরছে। সাপে কামড়েছে, হাসপাতালেও এসে দেখছি সাপের আতঙ্ক।”
হাসপাতালের এক নার্স প্রিয়া ঘোষ বলেন, “নাইট শিফটে যাঁরা ছিলেন, নার্সিং স্টেশনে গিয়ে সাপ দেখেন। যেখানে আমরা কাজ করি, খাতার ভিতর বক্সে সাপ দেখা যায়। আমরা ভয়ে জায়গা বদলে ফেলি। সাপ খোঁজার সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। কার্বলিক অ্যাসিডও দেওয়া হয়েছে। তবে সাপ আর দেখা যায়নি। কিন্তু ভয় তো পাচ্ছিই। আমাদের হস্টেলেও প্রায় প্রায়ই সাপ দেখা যায়। আশেপাশে প্রচুর জায়গায় সাপ আছে। নার্সিং হোস্টেলে তো বিছানার মধ্যে, মশারির মধ্যেও সাপ উঠে পড়ে।”
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার সৌভিক আলম বলেন, “আমাদের মেল ওয়ার্ডে একটা সাপ দেখা গিয়েছিল। তারপর সাপটা আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের হাসপাতালের কিছু স্বাস্থ্যকর্মী সেটা খোঁজেনও। তবে আর পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের আশেপাশে কোনও জায়গা থেকে সাপটা আসতে পারে। হয়ত চলেও গেছে। তবে সাপের দংশনের একটা ভয় তো রয়েছে। তা থেকেই স্বাস্থ্যকর্মী বা অন্যান্য রোগীদের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। তবে আমরা সকলকে আশ্বস্ত করেছি, যা যা করার করেছি। কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়া হয়েছে।”