Katwa Hospital: খেলা হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সুপারকে, এবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার

Purba Burdwan: অভিযোগ, পাঁচিল তুলতে বাধাও দেন নির্মাণ শ্রমিকদের। এমনকী হাসপাতালের কর্মী থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ ওঠে ওই ঠিকাদার ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

Katwa Hospital: খেলা হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সুপারকে, এবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার
অভিযুক্ত ঠিকাদার কিংশুক মণ্ডল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2022 | 9:25 AM

পূর্ব বর্ধমান (কাটোয়া): সরকারি কাজে বাধা দেওয়া-সহ সরকারি কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ঠিকাদার। তাঁর সঙ্গে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ। ধৃত ঠিকাদারের নাম কিংশুক মণ্ডল। এই কিংশুকের বিরুদ্ধে এর আগে কাটোয়া হাসপাতালের সুপারকে হোয়াটসঅ্যাপে ‘খেলা হবে’র হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। মঙ্গলবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে। কিংশুকের পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর ভাই কৌশিক মণ্ডলও।

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তার কারণে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে বেশ কয়েক জায়গায় নতুন করে পাঁচিল তোলার সিদ্ধান্ত হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার থেকে সেই পাঁচিল তোলার কাজও শুরু হয়। পূর্ত দফতরের নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ শুরু করেন। এদিকে হাসপাতালের সীমানা লাগোয়া কিংশুকের ওষুধের দোকান, বাড়ি রয়েছে বলে অভিযোগ। তাই পাঁচিল দিলে ব্যবসার ক্ষতি হবে বলে দাবি করেন কিংশুক।

অভিযোগ, পাঁচিল তুলতে বাধাও দেন নির্মাণ শ্রমিকদের। এমনকী হাসপাতালের কর্মী থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ ওঠে ওই ঠিকাদার ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এরপরই কাটোয়া থানায় অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত দুই ভাইকে আটক করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে পুলিশি তত্ত্বাবধানেই ফের সীমানার কাজ শুরু হয়। পরে কিংশুক ও কৌশিককে গ্রেফতার করা হয়। মহকুমা হাসপাতালের সুপারের অভিযোগের ভিত্তিতে কাটোয়া থানার পুলিশ আটক দু’জনকে গ্রেফতার করে।

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার সৌরভ আলম বলেন, “আমাদের হাসপাতালের যে সীমানা পাঁচিল সেখানে তিনটে মূল গেট আছে। এছাড়া হাসপাতালে কিছু ছোট ছোট এন্ট্রি এক্সিট পয়েন্ট আছে। সেগুলোর জন্য হাসপাতালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে অনেকদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাজ শুরু হতেই কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এক ঠিকাদার ঝামেলা শুরু করেন। তিনি সেই বিতর্কিত ঠিকাদার, যাঁর নামে আগেও অভিযোগ হয়েছে। এদিনও সকলকে হুমকি দিতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আসে।”

এর আগে সুপার সৌরভ আলমই অভিযোগ তুলেছিলেন, “আমাদের হাসপাতালের ঠিকাদার কিংশুক মণ্ডল ২০১৬ সালে কাজ করতেন। কিছু পুরনো বিল পাচ্ছেন না, আদালতে মামলা চলছে, বিচারাধীন বিষয়। কিন্তু আমাকে তার জন্য প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছেন। কিছুদিন আগে মেসেজ করেছে, ‘খেলা হবে। এই খেলার মধ্যে যে আসবে ফিনিশ হয়ে যাবে’।” সে সময় অবশ্য কিংশুকের বক্তব্য ছিল, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।

কিংশুক মণ্ডল বলেছিলেন, “কেউ মেসেজটা দেখলেই বুঝতে পারবেন অন্য একটা বিষয়ে কথা হচ্ছিল। ওনার কাছ থেকে টাকা পাব। কোর্টের অর্ডারের পরও টাকা দিতে চাইছেন না। ওনার বিরুদ্ধেও সমস্ত প্রমাণ আমার কাছে আছে। ওনার হোয়াটসঅ্যাপেও তা দিয়েছি। স্বাস্থ্যভবনেও অভিযোগ করেছি। টাকা না দেওয়ার জন্যই এসব করছেন। মিথ্যা চক্রান্ত ছাড়া এসব কিছু না।” তবে এবার সেই কিংশুককেই সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিশ।