‘শুভেন্দুর জন্যই জল-যন্ত্রণা,’ নন্দীগ্রামে প্রাক্তন সেচ মন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ অখিলের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Aug 04, 2021 | 11:15 PM

Akhil Giri and Suvendu Adhikari: "মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন একজনকে সেচ দফতরের। তিনি ডুবিয়ে দিয়ে গেছেন জেলাকে। কোনও কাজ করেননি। সেচ দফতরে শুধু দুর্নীতি করেছেন।''

শুভেন্দুর জন্যই জল-যন্ত্রণা, নন্দীগ্রামে প্রাক্তন সেচ মন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ অখিলের
শুভেন্দুর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তোপ অখিলের, ফাইল চিত্র

Follow Us

নন্দীগ্রাম: এই বন্যা ম্যান-মেড। অভাবনীয় মাত্রায় জল ছেড়েছে ডিভিসি (DVC)। তাই এই পরিস্থিতি। হাওড়ার আমতায় নিজে ছাতা ধরে হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। অন্যদিকে প্রাক্তন সেচমন্ত্রী তথা অধুনা বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাবে মানুষকে দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। দোষারোপ ও পাল্টা দোষারপের তরজায় এবার যোগ দিলেন মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর দাবি, শুভেন্দুর জন্যই মানুষের এই জল-যন্ত্রণা।

বুধবার নন্দীগ্রামে বিজেপি থেকে প্রায় একশো নেতাকর্মীকে তৃণমূলে যোগদান করান অখিল। সেখান থেকে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে ফের আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, “নন্দীগ্রামে কারচুপি করে জিতেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশন সেন্ট্রাল ফোর্স, সহ অন্যান্য দের কাজে লাগিয়ে জয়ী হয়েছে এবং আমাদের প্রার্থীকে হারিয়েছে।”

অখিলের আরও মন্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন (পড়ুন শুভেন্দু)। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার পর একের পর এক দুর্নীতি করেছেন এবং কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুভেন্দু কাজ করতে পারেননি। তাঁর ব্যর্থতা আমাদের উপরে চাপানোর চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি নন্দীগ্রামে মানুষের উন্নয়নে ক্ষেত্রে
নন্দীগ্রাম সহ জেলায় আমরা ‘আদমি’ প্রকল্প চালু করছি। সুবিধা হলো সেচ দপ্তরের মাধ্যমে সংস্কার করে জল নিকাশি ও বৃষ্টির জল ধরে মাছ চাষে মৎস্যজীবীদের সহায় হবে। এই প্রথম সামুদ্রিক জলোচ্ছাস ফলে যে বিপুল ক্ষতি হয়েছিল মৎস চাষে তাতে করে বেকিস ওয়াটারের (চিংড়ি) চাষের ক্ষেত্রে প্রায় ১৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। হয়তো তা যথেষ্ট নয়, কিন্তু দেওয়া হয়েছে প্রথম বেসরকারি মৎস্যজীবিদের।”

মন্ত্রীর সংযুক্তি, “মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন একজনকে সেচ দফতরের। তিনি ডুবিয়ে দিয়ে গেছেন জেলাকে। কোনও কাজ করেননি। সেচ দফতরে শুধু দুর্নীতি করেছেন। যার জেরে জেলার বিভিন্ন জায়গায় খাল,বিল ও নিকাশির নালার আজ বেহাল অবস্থা। ফল স্বরূপ বাঁধ বেহাল যার জেরে জল ঢুকছে গ্রামের পর গ্রামে।”

এদিকে অখিলের সভায় বিপুল জনসমাগম নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “এই রাজ্যে তিনটি জায়গায় করোনা অতিমারী প্রভাব বেশি। এক লোকাল ট্রেন, দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বিজেপির কর্মসূচিতে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত।” আরও পড়ুন: দলের নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে মনেই নেই দিব্যেন্দুর! অভিমানী প্রদীপ বললেন, ‘দেহ ঘাসফুলে মন তো পদ্মে’ 

Next Article