দলের নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে মনেই নেই দিব্যেন্দুর! অভিমানী প্রদীপ বললেন, ‘দেহ ঘাসফুলে মন তো পদ্মে’

Dibyendu Adhikari: দিব্যেন্দুর সাফ জবাব, "আমাদের বিরুদ্ধে যদি ত্রিপল চুরির মামলা হয়, তাহলে ঘেরাও-ভাঙচুরের অভিযোগ করা অন্যায় হবে কেন?''

দলের নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে মনেই নেই দিব্যেন্দুর! অভিমানী প্রদীপ বললেন, 'দেহ ঘাসফুলে মন তো পদ্মে'
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2021 | 10:48 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: গত মে মাসে নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর কাঁথির শান্তিকুঞ্জ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর হুঁশিয়ারি দেন জেলার তৃণমূল নেতা কর্মীরা। তাঁদের রোষ পদত্যাগী তৃণমূল নেতা তথা অধুনা বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকরারীর বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন এখনও খাতায়কলমে তৃণমূলের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আর এদিন আদালত থেকে জামিন পেয়ে দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সেই তৃণমূল নেতা। পাল্টা দিলেন দিব্যেন্দুও।

শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব ক্রমেই বেড়েছে। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর বাবা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও ঘাসফুল শিবির রয়েছেন খাতায়-কলমে। তবে দল না ছাড়লেও দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে তমলুকের সাংসদের মামলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই।

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন। তাঁর বিরুদ্ধে অধিকারী বাড়ি ঘেরাও করে ইট-পাথর ছোড়া ও ভাঙচুরের অভিযোগ দিব্যেন্দু মামলা দায়ের করেছিলেন পুলিশের কাছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩০ জুলাই কাঁথি আদালতে জামিনও নেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ। তবে জামিন নিলেও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

প্রদীপবাবুর কথায়, “কোর্টের নোটিস হাতে পাওয়ার পরেই জানতে পারলাম আমার বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। অথচ, আমি নিজেই জানি না কবে বাড়ি ভাঙচুর করলাম! কবে আবার আমার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে!”

তাঁর অভিযোগ, “দলের সাংসদ হয়ে দলের আরেক নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছেন। তার মানে ওনার দেহ ঘাসফুলে, মন পদ্মপাতায়।” তিনি আরও যোগ করেন, “ওঁনার বাড়ির চারপাশে সিকিউরিটি ২৪ ঘণ্টা পাহারা দেয়। চারদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকে। ওই দিনের ফুটেজ চেক করলেই তো ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়ে যাবে।”

এদিকে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জানাচ্ছেন, অভিযোগের তারিখ তাঁর মনেই নেই! তবে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি অর্থাৎ, অধিকারী বাড়ি ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই সময় অভিযোগ করেছিলেন, এটুকু জানালেন তিনি। তাঁর সংযুক্তি, “মনে হচ্ছে পুলিশ এতদিনে সজাগ হয়েছে।”

তৃণমূলের সাংসদ হয়ে তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে দিব্যেন্দুর সাফ জবাব, “আমাদের বিরুদ্ধে যদি ত্রিপল চুরির মামলা হয়, তাহলে ঘেরাও-ভাঙচুরের অভিযোগ করা অন্যায় হবে কেন?” আরও পড়ুন: হাজার টাকার অক্সিমিটারের ঘণ্টায় ভাড়া ৫০০ টাকা! হাসপাতালের ‘চার্ট’ দেখে ‘থ’ মহকুমা শাসক!