হাজার টাকার অক্সিমিটারের ঘণ্টায় ভাড়া ৫০০ টাকা! হাসপাতালের ‘চার্ট’ দেখে ‘থ’ মহকুমা শাসক!
Pulse Oximeter: অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে কার্যত চমকে গিয়েছেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত। বিষ্ণপুর শহরের মটুকগঞ্জ এলাকায় একটি বেসরকারী হাসপাতালের বিরুদ্ধে সামনে যে রেট চার্ট ঝোলানো তাতে লেখা, অক্সিজেন ভাড়া প্রতি ঘণ্টায় ৫০ টাকা, পালস অক্সিমিটারের প্রতি ঘণ্টায় চার্জ ৫০০ টাকা।
বাঁকুড়া: একের পর এক ভুয়ো কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে শোরগোল। সেই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড (Fake Vaccine) থেকে শুরু, তার পর ভুয়ো আইপিএস, আইএস, সরকারি আধিকারিক, বিচারক, ভুয়োস কাণ্ডের লিস্ট বেশ বড়। সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলাতেও স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নিয়ে ভুয়ো চিকিৎসার অভিযোগ সামনে এসেছে কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতলের বিরুদ্ধে। এবার সামনে এলো বিভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষার নামে গাদাগুচ্ছের টাকা নেওয়ার অভিযোগ। এমনকি হাজার টাকা মূল্যের অক্সিমিটার দিয়ে রোগীর কাছ থেকে ঘণ্টা হিসাবে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা!
এদিন অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে কার্যত চমকে গিয়েছেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত। বিষ্ণপুর শহরের মটুকগঞ্জ এলাকায় একটি বেসরকারী হাসপাতালের বিরুদ্ধে সামনে যে রেট চার্ট ঝোলানো তাতে লেখা, অক্সিজেন ভাড়া প্রতি ঘণ্টায় ৫০ টাকা, পালস অক্সিমিটারের প্রতি ঘণ্টায় চার্জ ৫০০ টাকা। কার্ডিয়াক মনিটর ভাড়াও ঘণ্টা প্রতি ৫০০ টাকা।
বিষ্ণপুর শহরের মটুকগঞ্জ এলাকায় ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পরীক্ষায় বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর পরে সরেজমিনে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যান মহকুমা শাসক। তাঁরও নজরে আসে হাসপাতালের হেল্প ডেস্কে টাঙানো এই রেট চার্ট। তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করলে হাসপাতালের তরফে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায় এটা এমনি ঝোলানো রয়েছে। প্রকৃত চার্জ নাকি এটা নয়। তাহলে কেন এই চার্ট ঝোলানো আছে? সদুত্তর মেলেনি।
তাহলে কি এই রেট তালিকা ভুয়ো? এই ভুয়ো তালিকা ধরেই কি নেওয়া হচ্ছিল রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের কাছ থেকে বেশী পরিমান টাকা? বিষ্ণুপুর মহকুমা শাসকের কাছে ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে পরীক্ষার নাম করে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ সামনে সামনে আসে। খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ হাসপাতালে আচমকা হানা দেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত। বিভিন্ন রেট খতিয়ে দেখেন মহকুমা শাসক ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। রেট নিয়ে গরমিল রয়েছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মহকুমা শাসক জানান, অভিযোগ পেয়ে খতিয়ে দেখতে এসেছিলাম, রেট এবং প্যাকেজ কী হিসাবে ওই হাসপাতাল নিচ্ছে। তা জানার জন্য জরুরি তলব করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এদিকে অভিযোগ সামনে আসতেই অন্য কথা বলছেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, ‘ফরম্যালিটি মেন্টেনেন্স’-এর জন্য টাঙানো হয়েছে রেট চার্ট। এই রেট ধরে টাকা নেওয়া হয় না। যদিও এই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা অতনু বিশ্বাস নামে এক রোগী আত্মীয়ের দাবি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক বেশি টাকা চার্জ নিচ্ছে হাসপাতাল। আরও পড়ুন: নেপথ্যে নেই শাসক শিবির, পরকীয়ার জেরেই খুন খয়রাশোলের বিজেপি কর্মী!