Nandigram: ‘বাড়িতে ফোন করে যাচাই করছে কোন বাড়ির মেয়ে’, ক্ষোভে ফুটছে নন্দীগ্রাম

Nandigram: ১০০ দিনের কাজের টাকা জব কার্ড থেকে শুরু আবাস-সহ একাধিক ক্ষেত্রে তৃণমূলের এই স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে গ্রামবাসীদের একাংশের। সেই অভিযোগেই আজ নন্দীগ্রামের ঘোলপুকুর এলাকায় তৃণমূল নেতা প্রকাশ মালের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে মহিলাদের একাংশ।

Nandigram: 'বাড়িতে ফোন করে যাচাই করছে কোন বাড়ির মেয়ে', ক্ষোভে ফুটছে নন্দীগ্রাম
নন্দীগ্রামে বিক্ষোভImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2024 | 7:46 PM

নন্দীগ্রাম: লোকসভা ভোটের মুখে আবারও চর্চায় নন্দীগ্রাম। এবার নন্দীগ্রামে এক তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ১০০ দিনের কাজের টাকা জব কার্ড থেকে শুরু আবাস-সহ একাধিক ক্ষেত্রে তৃণমূলের এই স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে গ্রামবাসীদের একাংশের। সেই অভিযোগেই আজ নন্দীগ্রামের ঘোলপুকুর এলাকায় তৃণমূল নেতা প্রকাশ মালের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে মহিলাদের একাংশ।

গ্রামের এক বৃদ্ধের দাবি, আমফানের সময় তাঁর পাঁচটি বরোজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, তিনি বরাবর বিজেপি করতেন, কিন্তু তাঁকে জোর করে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বৃদ্ধের দাবি, তাঁকে বলা হয়েছিল তৃণমূলের মিটিং-মিছিলে গেলে ১ লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়া হবে। সেই কারণে, গোপনে গোপনে তিনি গিয়েছিলেন মিটিং-মিছিলে। কিন্তু, ক্ষতিগ্রস্ত বরোজের জন্য কোনও টাকা তিনি পাননি বলেই দাবি বৃদ্ধের। এরপর যখন তিনি যোগাযোগ করেন ওই নেতার সঙ্গে, তখন তাঁকে বলে দেওয়া হয়েছিল তাঁর নামে কোনও টাকা আসেনি।

গ্রামবাসী এক মহিলা বলছেন,’আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। আমরা কিচ্ছু পাইনি। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য সব দরখাস্ত জমা দিয়ে এসেছে। তারপর বাড়িতে ফোন করে যাচাই করছে, এরা কোন বাড়ির মহিলা।’ মহিলার অভিযোগ, সরাসরি প্রকাশ মালের দিকে। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মহিলার বক্তব্য, ‘জবকার্ডের সব টাকা মেরে দেওয়া হয়েছে।’

এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তৃণমূল তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি শেখ সুফিয়ানের বক্তব্য, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণেই এসব করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ভোটের সময় বিভিন্ন মিথ্যা ইস্য়ু তোলা হচ্ছে। বাস্তব তা নয়। যেহেতু সেখানে তৃণমূল দুর্বল, তাই রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সেখানকার বিডিও নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখবেন।’ যোগাযোগ করা হয়েছিল বিজেপির জেলা সহসভাপতি প্রলয় পালের সঙ্গেও। তাঁর বক্তব্য, ‘তৃণমূলের চুরি-ডাকাতি এমন একটি পর্যায়ে গিয়েছে, প্রত্যেক বুথে বুথে এসব চলছে।’