Purba Medinipur: মাঝরাতে ২ মহিলার সঙ্গে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় বিজেপি নেতা, ধরা পড়তেই জোর করে বিয়ে! কাঠগড়ায় তৃণমূল
Purba Medinipur: এদিকে এ ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার আভিযোগ তুলেছেন দুই নির্যাতিতা মহিলা সহ মানস কামিলা নিজেও। খেঁজুরি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে থানার তরফে কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
খেজুরি: একসঙ্গে দুই মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ বিজেপির(BJP) কৃষাণ মোর্চার সভাপতির। দুই মহিলার সঙ্গে ‘আপত্তিজনক’ অবস্থায় দেখা মিলতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipore)জেলার খেজুরি থানার বাঁশগড়া গ্রামে। শেষে স্থানীয় কালী মন্দিরে দুই মহিলার সঙ্গে জোর করে বিয়েও দেওয়া হয় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা(BJP Leader) মানস কামিলার। তাঁর আবার দেখালি গ্রামে একটি সোনার দোকানও রয়েছে। এ ঘটনায় আবার নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) বুথ সভাপতি নিখিল পয়রার। অভিযোগ তাঁর নেতৃত্বেই তিনজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মহিলাদের শ্লীলতাহানিরও চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শেষে মানস কামিলার সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিয়ে, বাজনা বাজিয়ে গোটা গ্রামে ভ্যানে করে ঘোরানো হয় দুই মহিলাকে। বাজি ফাটিয়ে মিষ্টিও বিতরণ করা হয়। মুড়িয়ে দেওয়া হয় মাথা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তাল পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক মহল।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার আভিযোগ তুলেছেন দুই নির্যাতিতা মহিলা সহ মানস কামিলা নিজেও। খেঁজুরি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে থানার তরফে কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ মানস কামিলার। শেষ পর্যন্ত তিন জন কাঁথি কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এ ঘটনার পরেই পাল্টা তৃণমূল নেতা নিখিল পয়রাকে বিজেপির লোকজনেরা ব্যাপক মারধর করেছে বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিখিল পয়রাকে কাঁথির দারুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েচে। বর্তমানে এলাকাছাড়া অভিযুক্ত তৃনমূল নেতার সঙ্গীরা। ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির কৃষাণ মোর্চার সভাপতি মানস কামিলা বলেন, “দেখালি গ্রামে আবার ২০ বছর ধরে সোনার দোকান রয়েছে। ওখানে কিছু দুস্কৃতি সম্প্রতি আমার পিছনে লাগে। কিছুদিন আগে আমার দোকানে ভাঙচূর চালানো হয়। এখন এক আত্মীয়র বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেলে ১০-১৫ জন আমার উপর হামলা চালায়। আমার কাছ থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও সোনার আংটি কেড়ে নেওয়া হয়। তৃণমূলের বুধ সভাপতি নিখিল পয়রাই গোটা ঘটনার নেপথ্যে ছিল। সারারাত আমাকে ওর লোকজনেরা মারধর করে।”
অন্যদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক নির্যাতিতা মহিলা বলেন, “মানস কামিলার সঙ্গে আমাদের আত্মীয়তা আছে। অন্নপ্রশানের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানেই মানস কামিলা ও আমাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। শাড়ি কাপড় খুলে দেওয়ার চেষ্টা হয়। জোর করে আর এক মহিলা ও আমার সঙ্গে মানস কামিলার বিয়েও দেওয়া হয় মন্দিরে। চুল কেটে দিয়ে ভ্যানে করে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়।” প্রসঙ্গত, দুই মহিলারই স্বামী বর্তমান রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু, দোষভুলের বিচার না করে বারবার গ্রামে গ্রামে এই স্বশাসনের নামে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় বারবারই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।
যদিও দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতারা। এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আলাপন দাসের অভিযোগ, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। ওই সোনা দোকানিকে দুই মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় গ্রামবাসীরাই ধরে ফেলেন। তারপর তাঁরাই দেখালি বাজারে কালী মন্দিরে বিয়ে দেয়।” সমগ্র ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা। তিনি বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স গিয়ে ওদের উদ্ধার করে। তবে সবাই বিবাহিত বলেই জানা যাচ্ছে। অভিযোগ পেলে সঠিকভাবে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”