Moyna BJP Worker’s Death: ব্রিজের নীচ থেকে বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, নেপথ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি অন্য কিছু?

Moyna BJP Worker's Death: কৃষ্ণের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন কৃষ্ণ।

Moyna BJP Worker's Death: ব্রিজের নীচ থেকে বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, নেপথ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি অন্য কিছু?
ময়নায় বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 11, 2022 | 1:01 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: ফের বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু। এবার ঘটনাস্থল পূর্ব মেজিনীপুরের ময়না। মৃতের নাম কৃষ্ণ পাত্র। পীড়াখালি ব্রিজের কাছে পরিত্যক্ত জায়গায় বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্তে ময়না থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, চাঁদিবেনিয়া বাকচা গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ পাত্র মঙ্গলবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, কাজে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন কৃষ্ণ। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের তরফে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। বুধবার সকালে নিখোঁজ ডায়েরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার আগেই প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর মেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কৃষ্ণ। তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

কৃষ্ণের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন কৃষ্ণ। পরিবারের দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনে এলাকায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন কৃষ্ণ। এলাকায় বিজেপির সংগঠন মজবুত করে তোলার চেষ্টা করছিলেন। তার জেরে এলাকায় একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হুমকির শিকার হন বলে অভিযোগ। এই মৃত্যুর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গ্রামের অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল কৃষ্ণের। সম্পর্কের টানাপোড়েনও এই রহস্যমৃত্যুর পিছনে কাজ করে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারের তরফে ময়না থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই কাশীপুরে অর্জুন চৌরাসিয়া নামে এক বিজেপি যুব নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রেলের পরিত্যক্ত আবাসন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপি এক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছিল। যদিও হাইকোর্টে যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা পড়েছে. তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়নি অর্জুনকে।

এই ঘটনায় ময়নার বিজেপি নেতা তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন “কৃষ্ণ পাত্র আমাদের সক্রিয় কর্মী। তাই রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। মৃতদেহ পাশ থেকে ধারাল অস্ত্র লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ।”

শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাইতি বলেন ” তৃণমূল কেন সন্ত্রাস করতে যাবে, সেটা আমি বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা প্রশাসন ও পুলিশ আধিকারিকদের বলেছিলাম শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে। আমরা কেন গণ্ডগোল করতে যাব। বিজেপি সন্ত্রাস বন্ধ না করলে তার পরিণাম ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। ”

ময়না থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।