Fraud Case: চাকরিতে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিতে গিয়ে ফের চেক বাউন্স, এবার কাঠগড়ায় তৃণমূলের উপপ্রধান

Fraud Case: টাকা ফেরতের দাবিতে একাধিকবার চাকরিপ্রার্থীরা তাঁর কোলাঘাটের বাড়িতে এসে হাজির হন। অতনুকে বাড়িতে না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাড়ির সামনে।

Fraud Case: চাকরিতে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিতে গিয়ে ফের চেক বাউন্স, এবার কাঠগড়ায় তৃণমূলের উপপ্রধান
অতনু গুছাইতের বাড়ি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2022 | 1:37 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ! পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অভিযুক্ত কোলাঘাটের বাসিন্দা অতনু গুছাইতের হয়ে টাকা ফেরত দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল উপপ্রধান। চাকরি দুর্নীতিতে পলাতক পার্থ ঘনিষ্ঠ কোলাঘাটের তৃণমূল নেতা অতনু গুছাইত। এদিকে, তাঁর হয়ে চাকরিপ্রার্থীদের টাকা ফেরত দিতে নেমেছিলেন কোলাঘাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। কিন্তু সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠেছে, চাকরিপ্রার্থীদের ৬৫ লক্ষ টাকার বাউন্স চেক দেওয়া হয়েছে। উপ প্রধানের বিরুদ্ধে এসডিপিও-র দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বাড়ি ছাড়া পার্থ ঘনিষ্ঠ কোলাঘাটের তৃণমূল নেতা অতনু গুচ্ছাইত।

টাকা ফেরতের দাবিতে একাধিকবার চাকরিপ্রার্থীরা তাঁর কোলাঘাটের বাড়িতে এসে হাজির হন। অতনুকে বাড়িতে না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাড়ির সামনে। সেই টাকা ফেরতের দায়ভার নেয় কোলা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মুজিবর তরফদার। কিন্তু তাতেও কারচুপি টাকা ফেরতের জন্য উপপ্রধানের দেওয়া চেক ব্যাঙ্কে নিয়ে গেলেই, তা বাউন্স করে ।

তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে ওই উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থীরা। অভিযোগ, অতনু তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের থেকে। ২০০৩ সালে কোলা ১ পঞ্চায়েত সদস‍্য ও ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। কোলা ১ পঞ্চায়েতে অতনুর একটি সুবিশাল বাড়িও রয়েছে। যদিও তাঁর বাড়ি এখন তালাবন্দি। দীর্ঘদিন ধরেই অতনু গুছাইত এলাকা ছেড়ে পলাতক হয়েছেন।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন,  “এ বিষয়ে আমার বিশেষ জানা নেই। এক জন ব্যক্তি ৬৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন পরিবারের পাঁচ জনকে চাকরি দেওয়ার জন্য। পরে চাকরি না পাওয়ার পর একটা চেক দেওয়া হয়, সেটা বাউন্সও হয়। সেটা জানি। আমাদের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। এই বিষয়টা আমার ঠিক জানা নেই। তবে যারা দলের প্রতিনিধি, তারা চান না মানুষ প্রতারিত হোক। চেষ্টা করেছিলেন, তার জন্যই চেক দিয়েছিলেন। হয়তো এটা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি।”

অভিযুক্তের বক্তব্য, “অতনু গুছাইতের কেসটা এক বছর আগের। ওর বাড়িতে বৃদ্ধা মা, বাচ্চা রয়েছে। যারা টাকা দিয়েছিল, তারা বাড়িতে চড়াও হচ্ছে রোজ। অশালীন আচরণ করছে। আমি সমস্যার সমাধান চেয়েছিলাম। আমি তারপর অতনুর আত্মীয়দের  সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা পয়সা দেওয়ার কথা বলি। ওদেরই আত্মীয় খামে করে কয়েকটা চেক দিয়েছিলেন। সেটাই আমি ওদের দিয়েছিলাম।”