‘ইতিহাস ক্ষমা করবে না’, নন্দীগ্রামে গিয়ে বার্তা রাজ্যপালের

হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখতেই সফর শুরু করেছেন রাজ্যপাল। শীতলকুচি ও অসমের পর এবার গেলেন নন্দীগ্রামে।

'ইতিহাস ক্ষমা করবে না', নন্দীগ্রামে গিয়ে বার্তা রাজ্যপালের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 15, 2021 | 3:32 PM

নন্দীগ্রাম: রাজ্যপাল হিসেবে এমন দিন দেখতে হবে কখনও ভাবিনি। পুলিশ ও প্রশাসন দেশের সংবিধান ও প্রজাতন্ত্রকে এ ভাবে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে, কখনও ভাবিনি। নন্দীগ্রামে গিয়ে এমনটাই বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমি লজ্জিত।’

রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার প্রভাব খতিয়ে দেখতে গত তিন দিন ধরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় গিয়েছেন রাজ্যপাল। শীতলকুচি দিয়ে তিনি তাঁর সফর শুরু করেন। অসমেও বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় শিবিরে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আর শনিবার সকাল তিনি পৌঁছলেন নন্দীগ্রামে। এবার বিধানসভা নির্বাচনে এই হাই ভোল্টেজ কেন্দ্রেই হয় মমতা ও শুভেন্দুর লড়াই। যে লড়াইতে শেষ হাসি হাসেন শুভেন্দু। আর ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পরই নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গা অশান্ত হয়ে ওঠে। সম্প্রতি ওই এলাকার এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু্ও হয়েছে। তাই জেলা সফরে নন্দীগ্রামকে গন্তব্য হিসেবে বাছলেন ধনখড়।

এ দিন, সকাল ৯টা মিনিটে রাজ্যপাল নামেন হরিপুরে। তারপর শ্যামসুন্দরী চক, কেঁদেমারি, উত্তর কেঁদেমারির পূর্ব পল্লী, চিল্লাগ্রাম পরিদর্শন করেন তিনি। নন্দীগ্রাম টাউন ক্লাবেও যান তিনি। পরে নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে দেখা করেন ওসির সঙ্গে।

নন্দীগ্রামে এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘শতাধিক দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বোমা মেরে  বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।’ তাঁর দাবি, মানুষ পুলিশের কাছেও যেতে পারছেন না। সাধারণ মানুষ বলছেন, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে শুরু হবে আরও ভয়ঙ্কর তাণ্ডব। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘এ সব দেখেও কিছু লোকের কোনও ভয় নেই। এমন পরিস্থিতিতেও যারা শান্তির ঘুম ঘুমোচ্ছে, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।’

আরও পড়ুন: রবিবার থেকে রাজ্যে কার্যত লকডাউন, কোন কোন ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়?

গত বৃহস্পতিবারই কোচবিহারে শীতলকুচি পরিদর্শনে যান জগদীপ ধনখড়। মাথাভাঙা, দিনহাটা, শীতলকুচির ভোট পরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। দিনহাটায় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। কোচবিহারে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “রাজ্য জুড়ে হানাহানি চলছে। আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াব। আমার দায়িত্ব সংবিধানকে রক্ষা করা।”