Purba Medinipur Chaos: ‘ক্ষমাই পরম ধর্ম’, মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল নেতাপুত্রের দাদাগিরি ‘মাফ’ সেই পথেই

Purba Medinipur: সম্প্রতি মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয়দের অশ্লীল গালিগালাজ খুনের হুমকি দেয় জেলা পরিষদের বন ও ভুমি কর্মাধ্যক্ষ তথা ব্লক তৃণমূল সভাপতি মৃনালকান্তি দাসের ছেলে মৃদুলকান্তি দাস।

Purba Medinipur Chaos: 'ক্ষমাই পরম ধর্ম', মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল নেতাপুত্রের দাদাগিরি 'মাফ' সেই পথেই
মৃদুলকান্তি দাস (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2022 | 4:30 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: এলাকায় তাঁর ‘দাদাগিরি’ চলে নিয়ম মাফিক। প্রতিবাদ করলেই তিনি ছুঁড়ে দেন খুনের হুমকি। কিন্তু তবুও তাঁর অবাধ বিচরণ। এলাকাবাসীর দাবি, তিনি ‘নেতাপুত্র’, তাই কেউ রোখার নেই তাঁকে। এমনকী, সম্প্রতি মদ্যপ অবস্থায় প্রকাশ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের অশ্লীল গালিগালাজ এবং খুনের হুমকি দেওয়ার পরেও ক্ষমা চেয়েই নিস্তার পেলেন ওই নেতাপুত্র। সম্প্রতি এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর দুই নম্বর ব্লক এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয়দের অশ্লীল গালিগালাজ খুনের হুমকি দেয় জেলা পরিষদের বন ও ভুমি কর্মাধ্যক্ষ তথা ব্লক তৃণমূল সভাপতি মৃনালকান্তি দাসের ছেলে মৃদুলকান্তি দাস। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক। উত্তেজনা প্রশমনে তাঁকে আটক করে পটাশপুর থানার পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এরপরেই উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে নামানো হয় র্যাফ।

এনিয়ে, উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় বিধায়ক উত্তম বারিক। তাঁর আশ্বাসেই শান্ত হন ক্ষুব্ধ জনতা। এরপর দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন বিধায়ক। সেই আলোচনায় ঠিক হয় দাদাগিরি ও খুনের হুমকি নিয়ে বাসিন্দাদের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চাইবেন অভিযুক্ত। যা মেনে নেয় ওই নেতাপুত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, মীমাংসা হওয়ার পরেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে অটল। টাকা চাইছেন হুমকি এবং দাদাগিরির জন্য উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক অভিযুক্ত মৃদুলকে।

তবে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, নেতাপুত্র হওয়ায় অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে না। কয়েকদিনের মধ্যেই দু’পক্ষ আলোচনায় বসে বিষয়টি নিয়ে কী করা যায় তা সিদ্ধান্ত নেবে। তারপর প্রয়োজন হলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হবে।

বস্তুত, এই দিকে আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের আসনসোল থেকেও। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় এক পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় আসানসোল কোর্ট চত্বরে। ওই ব্যক্তির পোশাকে সন্তোষ কুমার নেম প্লেট লাগানো ছিল। বুধবার তাকে আসানসোল কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের হলের সামনে পাওয়া যায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে এই দৃশ্য দেখে। শেষে পুলিশের গাড়ি এসে ওই মদ্যপ ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যায়।