পূর্ব মেদিনীপুর: সৌজন্যতার নজির গড়ল দুই দেশ। মাঝ সমুদ্রে বিকল হয়ে যাওয়ায় বিপদের মুখে পড়ে বাংলাদেশের একটি ট্রলার। পরে সেদেশের কুড়িজন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে সঠিক সুরক্ষায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দিল ভারতীয় নৌবাহিনী।
রবিবার বঙ্গোপসাগরে ভারত-বাংলাদেশ ইন্টান্যাশনাল মেরিনটাইম বর্ডার লাইনে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক জলসীমায় দুপুর নাগাদ এই প্রত্যার্পণ হয় আনুষ্ঠানিক ভাবে। জানা গিয়েছে, গত ২৬ ডিসেম্বর ‘আল্লাহর দান’ নামে ওই ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয় সমুদ্রে। বিপদের সম্মুখীন হন মৎস্যজীবীরা। এরপরই ট্রলারটির খোঁজ পান ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। পরে বিপদ থেকে তাঁদের উদ্ধার করে পারাদ্বীপ কোস্টগার্ড।
এদিন, পারাদ্বীপ ও হলদিয়া কোস্টগার্ড যৌথভাবে বর্ডার এলাকায় গিয়ে বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেন। ভারতীয় কোস্টগার্ডের সরোজিনী নাইডু জাহাজে এই প্রত্যার্পণ চুক্তি করে মৎস্যজীবীদের ফেরানো হয়। হলদিয়া কোস্টগার্ডের পক্ষে কমান্ডিং অফিসার দীপক সিং এ খবর জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জানা যায় এমভি অভিযান চলাকালীন ১০টি লঞ্চে ধরে যায় আগুন। এই ঘটনায় অনেকেই মারা গিয়েছেন বলে খবর। অনেকেই নিখোঁজ ছিলেন। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্চিল সরকার। গঠন করা হয়েছিল দুটি তদন্ত কমিটি। এরপরই ওই দুই কমিটির রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তর গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি জানিয়েছে যে, ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লাগে এবং তা লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, ইঞ্জিনে ত্রুটি ছিল এবং অনুমতি না নিয়ে লঞ্চটির ইঞ্জিন বদল করা হয়েছিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, লঞ্চের গতি বাড়াতে নৌপরিবহণ মন্ত্রকে অনুমোদন ছাড়াই উচ্চ ক্ষমতার ইঞ্জিন লাগানো হয়েছিল এবং ইঞ্জিটি ছিল পুরনো। নতুন ইঞ্জিন বসানোর পর সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের তত্ত্বাবাধনে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তবে এই ঘটনায় মৃত্যু হয় অনেকের।
আরও পড়ুন: Elephant Foray: ঘুম ভাঙল বিকট আওয়াজে, মুহূর্তের মধ্যে বাড়িঘর তছনছ, প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দম্পতির!