COVID Camp: ৩১ পূণ্যার্থী পজিটিভ! গঙ্গাসাগরমুখীদের সংক্রমণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা
Covid Spike: ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন রাজ্য গঙ্গাসাগর মেলার মতো জমায়েতে রাশ টানছে না। এমনও চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, এই অবস্থায় মেলা মানে তা সুপার স্প্রেডার ছাড়া আর কিছুই না।
কলকাতা: গঙ্গাসাগরের পথে আরও ৩১ তীর্থযাত্রী কোভিড আক্রান্ত বলে জানা যাচ্ছে। বাবুঘাটে যে ‘ট্রানজিট ক্যাম্প’ বা শিবির করা হয়েছে সেখানে ২০ জনের উপরে কোভিড পজিটিভের হদিশ মিলেছে। অন্যদিকে শিয়ালদহের শিবিরেও ৬ জন করোনা আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে।
বাবুঘাটের ট্রানজিট ক্যাম্প, শিয়ালদহ স্টেশনের শিবিরে আরটিপিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই ৩১ জনের শরীরে কোভিডের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে বাবুঘাটের শিবিরে ২৫ জন করোনা আক্রান্ত। বাকি ৬ জন শিয়ালদহের শিবিরে।
কলকাতা পুরসভার তরফে সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ৩১ জন আক্রান্ত হওয়ার কথা বলা হলেও বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই নমুনা পরীক্ষা হওয়ার কথা। ফলে এরপর এই সংখ্যাটা কত হয়, সেদিকেই নজর কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যকর্তাদের। ইতিমধ্যেই যাদের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, তাঁদের সেফ হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন রাজ্য গঙ্গাসাগর মেলার মতো জমায়েতে রাশ টানছে না। এমনও চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, এই অবস্থায় মেলা মানে তা সুপার স্প্রেডার ছাড়া আর কিছুই না। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, “আমরা মেলা করব আর সংক্রমণ আটকাতে চাইব দু’টো তো একসঙ্গে হয় না। এতে পরিস্থিতি খানিকটা এমন দাঁড়াচ্ছে যে, আগুনের সামনে দাঁড়িয়ে কীভাবে ঠান্ডা লাগতে পারে তার চিন্তাভাবনা করার মতো। কোনওভাবেই এটা সম্ভব নয়। মেলা হলে সংক্রমণ বাড়বেই। আমাদের সেটা মেনেও নিতে হবে। সেই খেসারত দিতে হবে। আমাদের যে কমিটি তৈরি হচ্ছে, সেই কমিটি এর জন্য জবাবদিহি করবে, তার দায়িত্ব নেবে।”
গঙ্গাসাগর মেলা রুখতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। আদালত জানিয়ে দেয়, শর্ত সাপেক্ষে এই মেলা করার অনুমতি দিচ্ছে তারা। কী সেই শর্ত? সবরকম কোভিড বিধি মেনে এই সাগর মেলা হচ্ছে কি না তা দেখভালের জন্য একটি কমিটি তৈরি করতে বলে আদালত।
মূলত তিন সদস্যর এই কমিটি তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেখানে সদস্য হিসাবে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। থাকবেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সনও।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, সাগরে কপিল মুনির আশ্রমে ৫০ জনের বেশি মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন না। পাশাপাশি যাঁরা আসছেন, তাঁদের কোভিড টেস্ট হচ্ছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। যদি পজিটিভ হন, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। কিন্তু ৫০ জন কপিল মুনির আশ্রমে প্রবেশ করলেও সাগরপাড়ে কীভাবে এই ৫০ জনের বিধি কার্যকর সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: BJP: ফের বিজেপিতে ‘হোয়াটসঅ্যাপ বিদ্রোহ’! এবার গ্রুপ ত্যাগ শঙ্কুদেব পাণ্ডার