Elephant Foray: ঘুম ভাঙল বিকট আওয়াজে, মুহূর্তের মধ্যে বাড়িঘর তছনছ, প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দম্পতির!

Dhupguri: মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে ধসে পড়ল বাড়ি। কিছু বোঝার আগেই খসে পড়ল দেওয়াল। হাতির হানা থেকে বাঁচতে সন্তান নিয়ে দৌড় লাগালেন দম্পতি।

Elephant Foray: ঘুম ভাঙল বিকট আওয়াজে, মুহূর্তের মধ্যে বাড়িঘর তছনছ, প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দম্পতির!
হাতির হানায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2022 | 5:05 PM

জলপাইগুড়ি: মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে ধসে পড়ল বাড়ি। কিছু বোঝার আগেই খসে পড়ল দেওয়াল। হাতির হানা থেকে বাঁচতে সন্তান নিয়ে দৌড় লাগালেন দম্পতি। রবিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ির সাকোয়াঝরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। লোকালয়ে হাতির তান্ডব অব্যাহত। এবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওমালী এলাকায় হাতির তাণ্ডবে ভাঙল তিন তিনটি বাড়ি। প্রাণ বাঁচিয়ে বাড়ি ছাড়লেন বাসিন্দারা।

আচমকা হাতির হানা:

রবিবার ভোর নাগাদ হঠাৎই বিকট আওয়াজ। ধড়ফড় করে ঘুম থেকে উঠে বসলেন বাসিন্দারা। জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখতে গিয়ে বাড়ি মালিকের চক্ষু চড়কগাছ। দুয়ারে দাঁড়িয়ে মস্ত বিপদ! হাজির হয়েছে এক মস্ত দাঁতাল হাতি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়িঘর তছনছ করতে শুরু করেছে হাতিটি।

কী করবেন এখন? তড়িঘড়ি চার সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচলেন সস্ত্রীক মোজাফফর মিঞা। এদিকে দল ছুটসেই হাতি তখন শুরু করেছে ভাঙচুর। প্রথমে দুটি বাড়ির শোয়ার ঘরের ঢুকে পড়ে সে। মজুত থাকা ধান, চাল নিমেষে সাবাড় করে দেয় দাঁতাল হাতিটি। এদিকে গ্রামে হাতির হানার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় এক হুলুস্থুল পরিস্থিতির। প্রচুর মানুষ ভিড় জমাতে থাকেন।

সোমবার সকল থেক হই হট্টগোল শুরু হয় এই এলাকায়। ভয়ে সন্ত্রস্ত এলাকাবাসীর চিৎকারে হঠাৎ টনক নড়ে হাতিটির। নিজের কাজকর্ম সেরে সে নদী পার হয়ে জঙ্গলে ফিরে যায় নিজে থেকেই। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সোনাখালি জঙ্গল থেকে দলছুট হাতিটি গ্রামের মধ্যে ঢুকে ছিল। তার পরেই এই কাণ্ড। এদিকে নিত্যদিন হাতির উৎপাতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা। বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তাঁদের অভিযোগ, বনের ভিতরে এখন খাবারের সংকট রয়েছে। যার ফলে জঙ্গল থেকে প্রায় প্রতিদিনই লোকালয়ে বেরিয়ে আসছে হাতির দল।

ঘটনার খবর পেয়ে সকাল ১০টা নাগাদ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পরিদর্শনে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন সোনাখালী বিটের অফিসার। যদিও গ্রামে যেতেই অফিসারকে ঘিরে রীতিমতো বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। পরে অবশ্য নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। বিট অফিসার সহদেব ওরাও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করলে ব্যবস্থা করা হবে। পরিবেশ প্রেমীদের অভিযোগ, বর্তমানে জঙ্গলে সরকারি ভাবে গাছ কাটার কাজ চলছে। পাশাপাশি জঙ্গলে খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই বারবার হাতির দল জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে।

আরও পড়ুন: Municipal Election in Corona Situation: দেওয়াল লিখনে প্রার্থীর নাম নেই, আছে ওমিক্রন সচেতনতার বার্তা!