Dooars: খালি পা, গায়ে চাদর, কাঁধে বন্দুক, রাত হলেই কাদের টহল ডুয়ার্সে? সিসিটিভি-তে ধরা পড়ল চাঞ্চল্যকর ছবি!
Antisocial attack in Dhupguri: ছবি ধরা পড়ল সিসি ক্যামেরায় (CCTV)। তীব্র চাঞ্চল্য ধূপগুড়ি জুড়ে। চিন্তায় ব্যবসায়ী মহল।
ডুয়ার্স: শীতের রাতে ডুয়ার্সে (Dooars) আস্তানা গাড়ছে ভিন রাজ্যে দুষ্কৃতীরা (Antisocial)। ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীরা হাজির ধূপগুড়ি (Dhupguri) শহরে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা, আর সেই মুহূর্তের ছবি ধরা পড়ল সিসি ক্যামেরায় (CCTV)। তীব্র চাঞ্চল্য ধূপগুড়ি জুড়ে। চিন্তায় ব্যবসায়ী মহল।
রবিবার ভোর রাতে এই দুঃসাহসিক ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন ধূপগুড়ি ব্যবসায়ীরা। জানা গিয়েছে ধূপগুড়ির মশলা পট্টির একটি সোনার দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পাশাপাশি পাশের আরেকটি দোকানে চুরির চেষ্টা চালানো হয়। দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় কম করে ৫ জন ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। দেখা যাচ্ছে দুষ্কৃতীদের সকলের মুখ ঢাকা মুখোশে। এমনকী গোটা শরীর চাদরে মুড়ি দেওয়া। এরা সকলেই খালি পায়ে এসেছিল, যাতে তাদের পায়ের শব্দ কোনভাবেই কেউ না পায়।
সিসিটিভি-তে দেখা যাচ্ছে, এদের কারও হাতে বাঁশ, লাঠি, লোহার রড ছিল। এমনকী একজনের কোমরের পিছনে আগ্নেয়াস্ত্র দেখতে পাওয়া যায় সিসি ক্যামেরায়, এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর। আর এ নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
এদিকে এই দুষ্কৃতীদের পোশাক দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এরা বিহার অথবা ভিন রাজ্য থেকে এসেছে। লক্ষ্য, চুরি- ডাকাতি। স্বাভাবিক ভাবে এই ঘটনায় চিন্তায় পড়েছেন পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে এই দুষ্কৃতী দলের ঠেক কোথায় তাই নিয়েই শুরু হয়েছে তদন্ত। চিন্তায় পড়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এদিকে বাজারের উপরে এই ধরনের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, রাতে ওই এলাকায় নাইট গার্ড থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে চুরির ঘটনা ঘটছে!
জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী সুকুমার পাল, বিষ্ণু পাল থানা মারফত রাত তিনটের সময় জানতে পারেন যে তাঁর দোকান চুরি গিয়েছে। ঘটনাস্থলে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ, তবে কত টাকার কী কী নিয়েছে তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি।
পাশের সোনার দোকানের মালিক প্রহ্লাদ সরকার বলেন, “আমরা সিসি ক্যামেরায় যে ছবি দেখলাম, তাতে আমরা মারাত্মক ভাবে চিন্তিত। দোকানে কেউ যদি পাহারায় থাকত ঘুমিয়ে তাহলে তাকে তো মেরে ফেলতে পারত দুষ্কৃতীরা! কারণ, তাদের হাতে যে ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ছিল তাতে আমরা রীতিমতো চিন্তিত”।
এদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। তবে থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এইভাবে চুরির ঘটনা ঘটায় ক্ষোভ বাড়ছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ধূপগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত বলেন, “আমরা ব্যবসায়ীরা দারুণভাবে চিন্তিত, দোকানে সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বলে বুঝতে পেরেছি যে দুষ্কৃতীরা এখানকার নয়। শহরের সমস্ত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ চেক করা উচিত যে তারা কোন দিক দিয়ে এসেছিল এবং সংখ্যায় কতজন ছিল। এখানে হয়তো সেভাবে কোনও ডাকাতি চালাতে পারেনি, তবে অন্য কোথাও তো তারা ফের হানা দিতে পারে! তাই দ্রুত এদের ধরার দাবি করছি”।