Jalpaiguri: ‘আগে রাস্তা পরে ভোট!’ হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ভোট বয়কটের ডাক সাধারণের
West bengal: এলাকাবাসী বলেন, "রাস্তা না করে ভোট চাইতে এলে ঝাঁটার বাড়ি দেওয়া হবে।"
জলপাইগুড়ি: সামনেই পৌর নির্বাচন। যার জেরে তৎপর প্রতিটি রাজনৈতিক দল। শুরু হয়েছে জোর কদমে প্রচার। কিন্তু সাধারণ মানুষ? তাদের কথা কতটা ভাবছেন জনপ্রতিনিধিরা? সেই প্রশ্ন আরও একবার উঠে গেল। এবার রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কটের হুমকি দিলেন জলপাইগুড়ি পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, ৩ নং ওয়ার্ডের পর এবার ভোট বয়কটের পথে জলপাইগুড়ি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ। বাসিন্দাদের অভিযোগ তারা নির্দিষ্ট সময়ে পৌরসভার ট্যাক্স প্রদান করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তাদের ওয়ার্ডের কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাই রাস্তা না করে ভোট চাইতে এলে ঝাঁটার বাড়ি দেওয়া হবে বলে হুমকি দিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ পৌর কর্তৃপক্ষকে বারংবার রাস্তা মেরামতের কথা বললেও কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার পৌর ভোটের মুখে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ভোট বয়কট এর পথে হাঁটতে চলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। শনিবার দুপুরে রীতিমতো পোস্টার ব্যানার লাগিয়ে ভোট বয়কটের স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ১৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা তপন গুহরায় বলেন, “আমাদের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড। দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে না হয় রাস্তা নির্মাণ, না হয় রাস্তা সংস্কার। সেই জন্য আজ আমরা পথে নেমেছি। এখানে সব রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষজন রয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগে রাস্তা তারপর ভোট। প্রতিমাসে আমরা পৌর কর দিয়ে থাকি। তারপরও আমাদের রাস্তা সংস্কার হয়নি। ড্রেন নেই, গার্ডওয়াল নেই, রাস্তায় একাটা অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে না। টোটো আসতে পারে না। আত্মীয় স্বজন এলে লজ্জা লাগে যে এটা পৌরসভা না পঞ্চায়েত যা অজ পাড়া গ্রাম। তাই সব রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন আগে কাজ করো তারপর ভোট চাইতে আসো। নয়ত ঝাঁটার বারি মারা হবে।”
অন্যদিকে, স্থানীয় কোর্ডিনেটর লোপামুদ্রা অধিকারী বলেন, “এর আগে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বঞ্চিত ছিল। প্রতিটি গলি বঞ্চিত ছিল সেখানকার। রাস্তা, ড্রেন, কিছুই ছিল না। ২০১৫ সালে জনগণের দ্বারা ১৯ ওয়ার্ডে নির্বাচিত হওয়ার পরে আমি এই ওয়ার্ডের যথেষ্ঠ উন্নতি করেছি। এবার একটা বা দুটো গলি বঞ্চিত থেকেই যাচ্ছে। একসঙ্গে সব কিছু তো করা সম্বব নয়। তাই আমি এখনও চেষ্টা করছি যতটা কাজ বাকি আছে করার পুরোটা করার চেষ্টা করছি।”
ঘটনায় জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, বিগত দিনে ১৯ নং ওয়ার্ড সত্যিই বঞ্চিত ছিল। কিন্তু বর্তমান কাউন্সিল প্রচুর কাজ করেছেন। কিছু সমস্যা থাকতে পারে। আমি নিজে ঐ ওয়ার্ডে যাবো। গিয়ে এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলবো।”
আরও পড়ুন: Municipality Election: বাড়ছে করোনা, দলগুলিকে ডিজিটাল প্রচারে জোর দেওয়ার নির্দেশ কমিশনের
আরও পড়ুন: Amit Shah: ‘সেই দলকেই সরকারে আনুন, যে…’, কী বার্তা দিলেন অমিত শাহ ?