‘মুখ্যমন্ত্রী বাঁচান!’, বন্ধ সৈকত-হোটেল, ভাটা পর্যটনে
Digha: বেড়াতে গেলে নিতে হবে করোনা প্রতিষেধকের দুটি টিকা অথবা হতে হবে করোনা নেগেটিভ। এই সংক্রান্ত শংসাপত্র না দেখালে সৈকতের হোটেলে মিলবে না ঘর এমনই নির্দেশিকা জারি করল সরকার।
পূর্ব মেদিনীপুর: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হতেই ভিড় বাড়তে শুরু করে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। দিঘা, শঙ্করপুরের মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে আনাগোনা বেড়েছিল ভ্রমণপিপাসুদের। সম্প্রতি, ফের করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি হতেই পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে বিশেষ বিধিনিষেধ চালু করল সরকার। যার জেরে সমস্যায় হোটেল ব্যবসায়ীরা।
বেড়াতে গেলে নিতে হবে করোনা প্রতিষেধকের দুটি টিকা অথবা হতে হবে করোনা নেগেটিভ। এই সংক্রান্ত শংসাপত্র না দেখালে সৈকতের হোটেলে মিলবে না ঘর এমনই নির্দেশিকা জারি করল সরকার। এরপরেই সৈকতে কমতে শুরু করেছে ভিড়। পাশাপাশি, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেল গুলোতে নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনে নাকা চেকিংয়ের জেরে পর্যটক শূন্য সৈকত। ফলে মাথায় হাত হোটেল ব্যবসায়ীদের। তাঁদের অভিযোগ, পর্যটক না থাকায় হোটেলের ইলেকট্রিক বিল ও কর্মচারীদের বেতন দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আয় নেই, অথচ ব্যয়ের খাতায় চলে যাচ্ছে সব। এইভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা তুলে দিতে হবে বলে আশঙ্কাও অনেকের। ফলে বাধ্য হয়েই বৈঠক ডেকে হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।
দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন হোটেল মালিকরা। তাঁদের সমস্যার কোনও সুরাহা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য় বন্ধ রাখা হবে হোটেল বলেই জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র বলেন, “১ জুলাই থেকে আমরা সরকারি নির্দেশ মেনে হোটেল খুলেছি। কিন্তু দিন কয়েক কাটতে না কাটতেই কাঁথি মহকুমা প্রশাসনের তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি হয়। যার জেরে, হোটেলে হোটেলে অভিযান গ্রেফতারি চলে। এভাবে আমরা হোটেল কীভাবে চালাব। একদিকে এত খরচ, কিন্তু আয় নেই। তাই আমরা সরকারের দ্বারস্থ হব ঠিক করেছি।”
তাজপুরে এক হোটেল মালিক শান্তনু সাহা বলেন, “জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে আমরা বিপুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। একে কোভিডের জেরে ব্যাবসা নেই, তার পর এই সরকারি সিদ্ধান্তের সাঁড়াশি আক্রমণ বিপাকে আমরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন আপনি বাঁচান আমাদের।” অন্যদিকে, রামনগরের ১ নম্বর ব্লকের বিডিও বিষ্ণুপদ রায় বলেন, “সরকারি নির্দেশ মানতে হবে। আর ওঁদের দাবিও অসঙ্গত নয়। কিন্তু এই নির্দেশ আমাদের হাতে নেই। তবুও হোটেল মালিকদের কথা ভেবে আমরা জেলা শাসককে জানিয়েছি। আশা করছি আগামী বৈঠকে কোনও সদর্থক সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।” আরও পড়ুন: ‘পলিটিক্যাল স্টান্ট’! জেলায় ‘কন্যাশ্রী’-র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হতে চলেছেন ‘মুসলিম গার্ল’ রুমানা