‘পলিটিক্যাল স্টান্ট’! জেলায় ‘কন্যাশ্রী’-র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হতে চলেছেন ‘মুসলিম গার্ল’ রুমানা
HS Topper Rumana Sultana: অধ্যাপক পবিত্র সরকার, সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার-সহ একাধিক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদেরা সংসদ সভাপতির মন্তব্যের বিরুদ্ধাচারণ তো করেছেনই, পাশাপাশি 'রাজনৈতিক নির্দেশ' বলেই দাবি করেছেন কেউ কেউ
মুর্শিদাবাদ: অতিমারী আবহে উচ্চমাধ্যমিকে (Higher Secondary Examination) প্রথম স্থানাধিকারী কান্দি রাজা মনীন্দ্রচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমানা সুলতানাকে জেলায় কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হতে পারে বলে প্রস্তাব দিয়েছেন জেলাশাসক। শুক্রবার জেলা প্রশাসনিক ভবনে রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম রুমানাকে ও রাজ্যে সম্ভাব্য অষ্টম স্থান অধিকারী প্রীতম চক্রবর্তী কে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানেই রুমানাকে জেলায় কন্যাশ্রীর ব্র্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে এই প্রস্তাবকে কেবল ‘স্বীকৃতি’ বলতে নারাজ বিরোধীরা। বরং, এর পেছনে যে বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বলেই দাবী তাঁদের।
বৃহস্পতিবার, উচ্চমাধ্যমিকের (Higher Secondary Examination) ফলপ্রকাশের সাংবাদিক সম্মেলনে সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস জানান যেহেতু অতিমারীর জেরে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না, সেই পরিস্থিতিতে ৫০০-তে ৪৯৯ পেয়ে প্রথম হয়েছেন এক ‘মুসলিম গার্ল’। কিন্তু, ‘মুসলিম গার্ল’-এর নাম নিজমুখে প্রকাশ করেননি মহুয়া। পাশাপাশি, সংসদ প্রধান এও উল্লেখ করেছেন, ‘সংসদের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথম।’ বারবার এক বিশেষ সম্প্রদায়ের নাম কেন আসবে সংসদ সভাপতির মুখে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। মহুয়া দাসের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জলঘোলাও।
অধ্যাপক পবিত্র সরকার, সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার-সহ একাধিক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদেরা সংসদ সভাপতির মন্তব্যের বিরুদ্ধাচারণ তো করেছেনই, পাশাপাশি ‘রাজনৈতিক নির্দেশ’ বলেই দাবি করেছেন কেউ কেউ। খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধরী, বিজেপি নেত্রী মালতী রাভা রায়-সহ একাধিক নেতৃত্ব সরব হয়েছেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়।
It was not known that any government repeatedly mention the religion of a meritorious girl student and announces the results of the 12th examination. Meritorious students have no religion, their real identity should be to work hard and get good results. That's it.#AgiyeBangla pic.twitter.com/UQk80h7fXK
— Malati Rava Roy (@RavaRoy) July 22, 2021
মাত্র ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই জেলাশাসকের পক্ষ থেকে রুমানাকে জেলার কন্যাশ্রী ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার প্রস্তাবের মধ্যে আসলে ‘রাজনৈতিক পদক্ষেপ’ বলেই মনে করছেন সকলে। কারণ, এর আগে, জেলায় কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতে এভাবে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি বলেই দাবি বিরোধীদের। জেলার বিরোধী বিজেপি দলনেতা তপন চন্দ্র বলেন, “মুর্শিদাবাদে ৭০ শতাংশ মানুষ সংখ্যালঘু। তাহলে কি মুসলিম বলেই রুমানাকে এই সম্মান দেওয়া হল? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে সরকার আসলে শিক্ষা নিয়েও রাজনীতি করছে।” যদিও, তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত জেলাশাসক নিয়েছেন। এরফলে জেলার পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়বে। সার্বিকভাবে জেলার উন্নতি হবে। আরও পড়ুন: বিশেষ সম্প্রদায় উল্লেখ করতে কি নির্দেশ ছিল? পবিত্রর কথায় বিস্ফোরক তথ্য